নজরুল ইসলাম বাবুল (মুন্সীগঞ্জ) : যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে সরাসরি সড়ক পথে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। যান বাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীর গতির কারণে মহাসড়কে লম্বা গাড়ি সারি। শনিবার (২৫ জুন) ২০২২ খ্রি. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখি সেতুটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। রবিবর (২৬ জুন) ভোর ৬ টা থেকে সেতুর টোল প্লাজা চালু করে সেতু দিয়ে প্রথম বারের মত যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ যেন আনন্দের সিমাহীন ছুটে চলা, হাজারো যানবাহন পদ্মার বুক ছিড়ে পার হচ্ছে এপার থেকে ওপার। এতে উৎসব আর আনন্দের জোয়ার বইছে মানুষের মনে। সেতুর টোল প্লাজায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে চারটি কাউন্টার দিয়ে প্রবেশ করছে যানবাহন। এর আগে গর্ভীর রাত থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় ভীড় করতে থাকে হাজার যানবাহন ও দর্শনার্থীরা। এতে করে মাওয়া টোলপ্লাজা থেকে শ্রীনগরের ছনবাড়ি পর্যন্ত হাইওয়েতে যানবাহন চলছে খুবই ধীর গতিতে। প্রায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহন থেমে থেমে চলছে।
রবিবার সকাল ৬ টা বাজতেই টোল আদায়ের পর যানবাহন পারাপারে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় বহুল প্রতিক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় টোল নিতে সময় লাগার ফলে সেতু পারাপার অপেক্ষাকৃত গাড়ীর চাপ বেড়েই চলছে। কেউ প্রয়োজনে আবার কেউ পদ্মা সেতু দেখতে ছুটে এসেছেন। যাত্রাবাড়ি থেকে শুরু করে মাওয়া রুটে সকল শ্রেণির যানবাহনের চাপ সকাল থেকে্ই বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমেই গাড়ির চাপ বাড়ছে।