ফজলুল হক : করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধি-নিষেধ শিথিল ও ঈদে ঘরমুখী মানুষের কারণে ফেরিঘাট গুলোতে বেড়েছে যাত্রী পরিবহন ও মানুষের চাপ। পাবনার কাজিরহাট ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য ৪ দিন অপেক্ষার পরেও মিলছে না কাজিরহাটের ফেরি পারাপার। ঘাটে বর্তমানে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শতাধিক যানবাহন। তবে সমস্যা নিরসনে কাজ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে আসা যাত্রীরা। তবে পশু ট্রাকের ভেতরে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এসব পশু হাট পর্যন্ত পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যাপারি-খামারিরা। উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে ঢাকাগামী কয়েকজন ট্রাকের চালকেরা বলেন আমরা নানান ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।
ট্রাক ফারুক হোসেন জানান, কোরবানির পশুবাহী ট্রাক,পাইভেট কার, ফেরিতে পার হতে দিলেও মালবাহী ট্রাক পার হতে দিচ্ছে না আমরা অপেক্ষায় আছি ৪ দিন ধরে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজিরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে জনগণ তেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে না। সবাই ঠিকমতো পারাপার হচ্ছেন। যানজট থাকলেও ফেরি কয়েকটা বাড়ালে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক দোকান্দার জানান, কাজির হাট বাসটার্মিনালে ভেকু রেখে সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে। বাসটার্মিনাল ফাঁকা করে রাখলে এখানে অনেক ঘাড়ি পার্ক করে রাখা যায়।