নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। মামলা তুলতে নিতে দিচ্ছে ভয় ভীতি দেখানোর কারণে আহত কলেজ শিক্ষক রাশেদ সালাহউদ্দিন বাবুর দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্যে। সে জোড়গাছা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নন্দনপুর ইছামতি মডেল একাডেমির পরিচালক, সাঁথিয়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রাম ও ধোপাদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রওশন আলীর ছেলে।
আহত কলেজ শিককে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়ে টানা চারদিন চিকিৎসা নিয়ে রবিবার (১৪’মার্চ) বাড়ি ফিরলেও আতঙ্কে দিন কাটছে তার।
কলেজ শিক্ষক বাবুর স্ত্রী বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানা ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এ ঘটনায় রোহান আহম্মেদ আলিফ (২০) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অপর দুই আসামী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছে, মামলা তুলে নেওয়াসহ দিচ্ছে নানা প্রকার ভয় ভীতি।
উল্লেখ্য; তেথুলিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রওশন আলীর ছেলে কলেজ শিক্ষক বাবু সাথে একই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ ) দুপুরে নন্দনপুর বাজার সংলগ্ন সাঁথিয়া-মাধপুর মহাসড়কের দক্ষিণে বাবুর নিজনামীয় সম্পত্তির উপড় তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নন্দনপুর ইছামতি মডেল একাডেমির নির্মানাধীন কাজ পরিদর্শন করতে যায়। এ সময় জায়গার সীমানা নিয়ে হবি ও তার ছেলে শামীমের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হবি নির্মান কাজে বাধা দান করে ও নির্মানাধীন ওয়াল ভাংচুর করে। বাবু দেয়াল ভাঙ্গা বাঁধা দিলে হবির ছেলে শামীম রাজ মিস্ত্রীর কাজে ব্যবহৃত কুন্নি দিয়ে মাথা এলাপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় হবি ও শামীমের ছেলে আলিফ (২০) বাবুকে দেশীয় অস্ত্র দারা এলোপাতাড়ীভাবে মারপিটসহ তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক ল টাকা ছিনিয়ে বলে অভিযোগ করেন।
বাবুর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ স্বজনেরা উদ্ধার করে দ্রুত সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এখন পর্যন্ত জোড়পূর্বক তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নন্দনপুর ইছামতি মডেল একাডেমির নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে অভিযুক্ত হবি ও তার লোকজন।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মামলা তুলে নিতে ভয় ভীতি দেখানোর ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।