পাবনার সাঁথিয়ায় সেলিম হোসেন (২৫) নামের এক অটোরিক্সা চালককে পায়ের রগকেটে হত্যার ৭২ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫’ জুন) দুপুরের পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলননে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, পুলিশি তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারীদের সনাক্ত করা হয়। গত (১২’ জুন) ২০২১ খ্রি. ভোর সাড়ে ৬ টার সময় ঢাকা, জেলার ধামরাই থানা নওগাঁ বাজারের জনৈক বক্করের ইট-ভাটা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত’রা হলেন, সাঁথিয়া ছোন্দহ এলাকার মো. সাঈদ মোল্লা ছেলে রাসেল হোসেন (২২), সাঁথিয়া বহলবাড়িয়া পূর্বপাড়া মো. সোলেমান ছেলে মো. রানা শেখ (২১) ও একই এলাকার মোছা. শীলা খাতুন(২১) স্বামী-মো. আল-আমিন এবং মো. হোসেন আলী (১৮), আতাইকুলার মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৮)।
পরিকল্পনা মোতাবেক আসামীগণ একই তারিখ বিকাল ৫টার সময় মাহমুদপুর বাজারে একত্রিত হয়। সেখান থেকে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে ভিকটিম সেলিমকে মাহামুদপুর বাজারে আসতে বলে। সেলিম মাহামুদপুর বাজারে আসলে আসামী রাসেল, রানা, আল আমিন, সাগর এবং হোসেন ভিকটিম সেলিমের অটোরিক্সা করে বহালবাড়ীয়ার কালুকাটা নামক স্থানে পৌঁছে। সেখানে পুর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ইজিবাইকটি মোড়ে রেখে কালুকাটা চকে আইলের উপর বসে গাজা সেবন করতে থাকে। রাত অনুমানিক ৯টার দিকে ভিকটিম সেলিম নেশাগ্রস্থ হয়ে পরলে আসামীগণ চাকু এবং হাতুরী দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আসামীরা সেলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে অটোরিক্সা নিয়ে একই রাতে আতাইকুলা বাজারে যায় এবং আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাংরির দোকানদার দেলোয়ারের নিকট ৩১,৫০০/- টাকা দিয়ে অটোরিক্সা বিক্রি করে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। এই ব্যপারে সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সপুার মো. শরীফুল ইসলাম, সাথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসিফ মোহম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।