পাবনা প্রতিনিধি : ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২৬ ফেব্রয়ারি) বেলা ১১টায় শহরের প্রধান আব্দুল হামিদ সড়কের পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন অন্যতম উপদেষ্টা পাবনা জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস। তিনি বলেন গুটিকয়েক মানুষের জন্য পাবনার উন্নয়ন থেমে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুন্দরভাবে ইছামতি খনন কাজ করে যাচ্ছে। পাবনা বাসী এই উন্নয়নে বিশ্বাসী, কেউ ইছামতি খনন কাজে বাধা দিতে আসলে আমরা পাবনাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে তার মোকাবেলা করবো।
ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার নায়েবে আমির প্রিন্সিপ্যাল আলহাজ্ব ইকবাল হোসাইন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের কো-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাজি ফারুক, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষিবিদ জাফর সাদিক, কবি আমিনুর রহমান খান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পাবনার সমন্বয়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ, অধ্যক্ষ আবদুদ দাইন ও প্রধান শিক্ষক বুরহানউদ্দিন সহ অনেকে।
বক্তারা ইছামতি নদী উদ্ধারের সাথে নদী পারের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী প্রকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণে ১ হাজার ৫’শ ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে ইছামতি নদী ও শাখা খাল খনন কাজ ৬ টি স্লটে ভাগ করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন। এম এস আহাদ বিল্ডার্স ১১০ কিলোমিটার খনন কাজ করছেন। গেল বছর ২৫ মে হতে খনন কাজ শুরু করলেও ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সূত্রেমতে জানা গেছে পাবনা শহরে নিম্ন আদালতে প্রায় ৯০ টি মামলা থাকায় কাজে বাঁধায় পরছে। আন্দোলনকারীরা মনে করেন মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও নিম্ন আদালতের দোহাই দিয়ে কিছু ব্যক্তি খনন কাজে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণে জেলা প্রশাসকের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া উচিৎ পাবনাবাসী মনে করেন। পাবনাবাসীর প্রানের দাবি ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর প্রান প্রবাহ নিশ্চিত করতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নদী পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন কাজ দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাছিমা খন্দকার, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাসান আলী,সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ, আব্দুল কাদের, শামসুল আলী, নজরুল ইসলাম, মাওলানা আবাদুল ইসলাম, সহকারি অধ্যাপক শফিকুর রহমান শান্ত, শিক্ষক সালেহা ইমতিয়াজ, শফিকুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ র্যালি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক নিকট নদী উদ্ধারে স্মারকলিপি প্রদান করেন।