মুক্ত চেতনা ডেস্ক : পাবনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় ৩৬ঘন্টার মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ডাকাত দলের ৭ সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়। লুন্ঠিত ট্রাকভর্তি মালামাল, অস্ত্র-গুলি, নগদ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সারাঞ্জমাদি উদ্ধার।
রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সদর থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মিদের এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতে সদর উপজেলার মালঞ্চি বাজারে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাত দল চারটি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইলফোনসহ প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ৯৩, তারিখ ২৪/০৮/২০২১ খ্রি., ধারা-৩৯৫/৩৯৭ (পেনাল কোড)। পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল ৩৬ ঘন্টার অভিযান বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত সর্দার আমিনুল ইসলামসহ দলের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার দুর গাগরাখালী গ্রামের নজাব আলীর ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৩৯), পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার হায়দারপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে মো. মাহাতাব মৃধা (২৬), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার রুপপুর গ্রামের মৃত কাঞ্চু’ ছেলে মো. ছাদেক (৫২), একই থানার পোতাজিয়া গ্রামের মৃত ওসমান সরদারের ছেলে মো. এরশাদ ওরফে গোলজার(৪২), পাবনা জেলার সদর থানার পয়দা রহিমপুর গ্রামের মো. তোরাব আলী ছেলে মো. দুলাল ফকির(২৬), সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার দুর গাগরাখালী গ্রামের মো. সিরাজ আলীর ছেলে মো. ফজর আলী (২২), একই থানার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মাষ্টারের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ ওরফে রঞ্জু (৪৩)।
তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে একটি সাটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক রেজি নং- ঢাকা মেট্রো- ন-১৮-৮৯৫৪, একটি রেজি. বিহীন সবুজ সিএনজি, ১৩টি লুন্ঠিত ফ্রিজ, ৫টি এলইডি টিভি, ৫টি লুন্ঠিত মোবাইল ফোন, নগদ উনআশি হাজার ৮শ ৫ টাকা, তালা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত কাটার মেশিন, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন, লুন্ঠিত ৪০টি ক্রাচ কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই মালঞ্চি বাজারে এক ডাকাত কাজ করতো। সেই ডাকাতের পরিকল্পা অনুসারে জেলার বাহিরের ডাকাত দলের বিভিন্ন সদস্যরা একত্রিত হয়ে এই ডাকাতির কাজ করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যদের মধ্যে জেলা এবং জেলার বাহিরের বিভিন্ন থানাতে একাধীক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। এই চক্রের সাথে অরো ৪ থেকে ৫ জন সদস্য পালাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার, মাসুদ আলম, (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম, ডিবি (ওসি) মো. আব্দুল হান্নানসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।