প্রতিবছরের মতো এবারো পাবনায় শুরু হয়েছে ১০দিনব্যাপী পুস্পমেলা। (০৮ জানুয়ারী) সোমবার বিকেলে পাবনা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) চত্বরে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান রশিদ হুসাইন এর সঞ্চালনায় পুস্পমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় সভাপত্বি করেন পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল কাদের। এসময় আরো উস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি শহীদুর রহমান, জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল রশিদ, নার্সারী মালিক সমিতির সদস্য ও উদ্যোগতা কামাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নার্সারী মালিকদের পক্ষে করোনাকালীন সময়ের জন্য প্রতিটি নার্সারী মালিকদের প্রণোদনাসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, ফুল ভালো বাসেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবেনা। ফুলের গাছ আগে নিদৃষ্ট সংখ্যক মানুষের বাড়িতে দেখা যেতো। এখন প্রতিটি মানুষের বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা এমনকি অফিস আদালতেও ফুল গাছের দেখা মেলে। ফুল আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষকে বৃক্ষ লাগাতে বলেছেন। আমরা ফলজ ও বনজ গাছের পাশাপাশি এখন ছাদ বাগান করছি। প্রকৃতির সাথে আমাদের দারুন একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কাউকে ভালোবাসা বোঝানোর জন্য ফুলের বিকল্পনাই। আগে শখরে জন্য বাগান করতো আর এখন সেটি ব্যবসায় পরিনত হয়েছে। নার্সারী মালিকরা এখন বেশ ভালো উপার্জন করছে এই ফুলের গাছ বিক্রি করে। তবে করোনা কালিন সময়ে এই নার্সারী মালিকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের সরকারি ভাবে প্রণোদনা দেয়ার জন্য আমি কৃষিসম্প্রসারাণ অধিদপ্তরসহ সরকারে কাছে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি ফুল গাছের পরিচর্চা জন্য তাদের বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাকরার কথা বলেন তিনি।
পাবনা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পুস্পমেলা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এবারের মেলোতে ২০টি নার্সারী এই মেলাতে অংশ গ্রহণ করেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্রজাতের ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। আলোচনাসভা শেষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নার্সারী মালিকদের বিশেষ প্রশিক্ষন প্রদানের প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানঅতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সকলে মেলা প্রঙ্গণ প্রর্দশন করেন।
