পাবনা ঈশ্বরদী ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় সহোদর ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জালিয়াতির ঘটনায় মোটা অংকের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তার।

সূত্রমতে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় মহল্লার আবদুল লতিফ খানের ২ পুত্র। একজনের নাম মোজাম্মেল হোসেন খান, অপর জনের নাম মামুনুর রশিদ খান। মোজাম্মেল হোসেন খান ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তারের নিকট বিগত ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ২ শত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দোকান ঘর ভাড়া প্রদানের চুক্তিনামা করে। এ সময় মোজাম্মেল হোসেন খান বাবুল আক্তারের নিকট থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা অগ্রীম জামানত গ্রহণ করে এবং মাসিক ভাড়া ২ হাজার টাকায় কমপক্ষে ৫ বছরের চুক্তিনামা করে। যাহার মেয়াদ হবে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর হতে ২০২৩ সালের ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত। অথচ মামুনর রশিদ ঢাকায় বসবাস করলেও তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন খান মামুনুর রশিদ খান সেজে জালিয়াতি করে বে-আইনী এবং ফৌজদারি অপরাধ করে। এছাড়াও চুক্তিপত্রের শর্ত অমান্য করে মোজাম্মেল হোসেন খান ২০২০ সালের ১২ জুলাই কোনো রকম নোটিশ না দিয়েই উল্লেখিত ভাড়া দোকানের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দোকান ঘরের মাঝ দিয়ে নতুন দেওয়াল উঠায়। এতে করে, বাবুল আক্তারের ব্যাটারী, মাইক এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তার বিগত ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাবনার সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী-২ নং আদালতে মোজাম্মেল হোসেন খানের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৬, ৪২০, ৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। এরপর ঈশ্বরদী থানার এস আই ফিরোজ হোসেন মামলাটি তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মোজাম্মেল হোসেন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আদালতের সমন জারির পরও মোজাম্মেল হোসেন খান আদালতে উপস্থিত না হলে আদালত হতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে মোজাম্মেল হোসেন গত ০৪/০২/২০২২ ইং তারিখ আদালতে হাজির হয়ে বিষয়টি মিমাংসার শর্তে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমদলী আদালত-২ (ঈশ্বরদী) ২ হাজার টাকার বন্ডে তাকে জামিন মঞ্জুর করে পরবর্তি তারিখ নির্ধারণ করেন। প্রকাশ থাকে যে, বাবুল আক্তার ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম রিপোটার্স ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা কার্যকরি কমিটির সদস্য।
সুত্রমতে আরো জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মোজাম্মেল হোসেন খানের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদারের সভাপতিত্বে এক শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশী বৈঠকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরিত দোকানঘর ভাড়া চুক্তিনামা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। বৈঠকে সকলের সম্মতিতে বিষয়টি মিমাংসা করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তারকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। অথচ সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মোজাম্মেল হোসেন খানের ভাই মামুনুর রশিদ প্রকৃত ঘটনা গোপন করে পাবনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ গত বছরের ১১ মে বাবুল আক্তারের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মোকদ্দমা দায়ের করে। মামলা নং- ৫/২২ (ঈশ্বরদী)। মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তারের নিকট থেকে তিনি ১ বছরের ভাড়া পাবেন। এ ঘটনায় মোজাম্মেল হোসেন খান ও মামুনর রশিদ খান নামক ২ ভাইয়ের জঘন্য জালিয়াতির ঘটনায় বাবুল আক্তার মোটা অংকের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার, সিনিয়র সহ সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মাহফুজুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্য ব্যাটারী ব্যবসায়ী বাবুল আক্তারকে বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *