।। এম এ ছালাম ।।
মানুষের সেবা করে বাকীটা জীবন কাটাতে চায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা তায়ের সরদার। পাবনার শহরতলী দোগাছি ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর। চর সদিরাজপুর, রাধাকান্তপুর, চর আশুতোষপুর , চর কোমরপুর, রানীনগর আরো অনেক গ্রাম। এই চরের রয়েছে অনেক ঘটনা, রয়েছে অনেক ইতিহাস। নদীর যেমন রয়েছে ভাঙা-গড়ার বাস্তবতা তেমনি এই চরাঞ্চলের রয়েছে ভাঙা-গড়ার অনেক ভয়াবহ ঘটনা। পদ্মার গর্জনে কম্পিত হত চরের মানুষ। প্রবল স্রোতে উজার হয় শত শত গ্রাম। চর জগতো, আবার ভাঙতো, আবার জাগতো ,আবার ভাঙতো। এভাবে ভাঙা-গড়ার এক পর্যায়ে জেগে ওঠে এই বিশাল চর। ঐ সময় মানিকগঞ্জ জেলার নদী ভাঙ্গা লোকজন এসে বসতি স্থাপন শুরু করে এই চরে। এই চরে বসবাস করা অধিকাংশ মানুষই মানিকগঞ্জ জেলা থেকে আগত। এখন তারা এই চরে দীর্ঘদিন বসবাসের কারণে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছে। অথচ এক সময় এই চরের স্থায়ী বাসিন্দা ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। তাদের মধ্যে রানীনগর চরের তায়েব সরদার এর বাবা আকবর সর্দার একজন। স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে ছিল তার গুরুত্ব ও প্রভাব। চরে তিন চার শত বিঘা জমি ছিল আকবার সরদারের। এলাকার প্রধান হিসেবে ব্যাপক পরিচিত ছিল। আকবার সর্দারের দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে ছোট অবস্থায় মারা যান। বাবার অতি আদরের ছেলে হওয়ার সুবাদে লেখাপড়া তেমন মনোযোগী না থাকায় মেট্রিক পাস করতে পারেন নাই তায়েব সরদার। ছাত্র জীবনে তিনি বাবার জমিজমা দেখা শোনার পাশাপাশি, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৭০ খ্রি. দিকে তার চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়।দিন যায় রাত আসে এভাবে কেটে যায় বেশ কিছু বছর। কখন যে স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী পার হয়েছে। কিশোর তায়েব সরদার যৌবনকাল পার করে ৬০/৬২ বছর অতিক্রম করেছেন বুঝতেই পারেন নাই। এই দীর্ঘ সময়ের পথ পাড়ি দিতে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামাতের শাসনামলে দীর্ঘ সময় বহুবার জেল জরিমানার স্বীকার হতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে পাষবিক নির্যাতন, পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে অনেক দিন, অনেক মাস, অনেক বছর। সরকার পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে মামলা মোকদ্দমা থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় স্বাভাবিক ভাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে দোগাছি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করতে সক্ষম হন। বর্তমানে তিনি পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। পাশাপাশি সংসার জীবনে তিনি ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে সফল একজন মানুষ। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে করেছেন অনেক গতিশীল, অনেক সম্প্রসারণ, যার ফলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে । মেসার্স বন্ধু ব্রিকস এ আর এম , চিথুলিয়া, দোগাছি, পাবনা। তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দরিদ্র মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তায়েব সরদার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং করদাতা। তার টিন সনদপত্র নং-৬১৯ ৮৮৫ ৪০৪ ১৭৮। তিনি প্রতি বছর সরকারকে ৪ লক্ষাধিক টাকা আয়কর ও ভ্যাট প্রদান করেন। তাঁর সদাআচরণ ও ভাল ব্যবহারে জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ তায়েব সরদার এ বিষয়ে বলেন , এলাকাবাসীর ভালবাসা এবং আমার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে জীবনের বাকী সময়টা মানুষের সেবা করে কাটাতে চাই। সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় পাবনা জেলার মধ্যে দোগাছি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয় পরিষদ হিসাবে গোড়ে তুলতে চাই।