মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্সকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিনত হবে— ডাঃ এম এ সাত্তার

শেয়ার করুন

ষ্টাফ রিপোর্টার : পাবনায় উপজেলা পর্যায়ে ইসলামী আদর্শে বিস্বাসী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতির সমন্বয়য়ে পরামর্শের ভিক্তিতে গঠন করা হয় পাবনা সদর উপজেলার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ। নবগঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পাবনা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও সাধারন সম্পাদক হিসেব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইজিবর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭এপ্রিল) পাবনা পিসিসি এস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে পাবনা সদর উপজেলার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভিত্তিতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পাবনা সদর উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজের পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্যে দিয়ে কাউন্সিল শুরু করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নাছিম রানার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছির উদ্দীন নাছিম, জেলা সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ সাত্তার বিলচলনী,পাবনা সদর জামায়াতের সেক্টেটারী আইনুল হক সহ উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পাবনা জেলা সভাপতি বলেন আজ আমরা প্রায় ৫৩ বছর পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এক জায়গায় হতে পেরে আমরা আজ আনন্দিত।আমরা একাত্তরে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা আনলেও ভারত পন্থি ফ্যাসিষ্ট সরকার আমার স্বাধীন বাংলায় রাজত্ব কায়েম করেছিলো, সতেরোটি বছর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাক স্বাধীনতা বন্ধ করে নিজ দলের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার আদায়ের সুযোগ করে দিয়েছিলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। আমরা সতেরোটি বছর নির্যাতিত হয়েছি, বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ই আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হয় বলেই আজ আমরা আবার ইসলামি চেতনায় বিশ্বাসী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। আমি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি হিসেবে পাবনা জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ হতে স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের কাছে ফ্যাসিষ্ট সরকারে সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রিয় সুযোগ সুবিধা দেবার জোড় দাবি জানাই। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে আমাদের ঐক্যর কোন বিকল্প নেই। সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ সাত্তার বিলচলনী বলেন আমি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে জীবন বাজি রেখেছিলাম,স্বাধীন করেছিলাম আমার প্রিয় মাতৃভুমিকে। স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা ভুলন্টিত করেছিলো আওয়ামী সৈরাচার ফ্যাসিষ্ট সরকার। যার কারনে আমাকে আবারো ২৪ এর বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে নতুন ভাবে দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের যতোগুলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রয়েছে সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাই সকল মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিনত করা হোক। পাবনা সদর উপজেলা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সাধুবাদ জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ সাত্তার। সব শেষে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ও চব্বিশের সকল শহীদের প্রতি মাগফিরাত ও দোয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শেষ করা হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *