সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৪টি বসত ঘর পুড়ে ছাই। নানা বাড়ি বেড়াতে মারিয়া (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু। শিশুটি উপজেলার ভূলবাড়িয়া ইউনিয়নের গয়েশবারিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের মেয়ে। রোববার (৯ এপ্রিল-২০২৩ খ্রি.) দুপুরে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের বিলচাপড়ি গ্রামের মোকছেদ প্রামানিকে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে নগদ টাকা,পাট, পেঁয়াজ, ধান ও বসতঘরে রক্ষিত মালামালসহ দুই ভাইয়ের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়। স্থানীয়রা কেউ কেউ বলছে ঘরের বৈদ্যুতিক তার ছিদ্র হয়ে পাটে আগুন ধরে যায়, আবার কেউ বলছে বাচ্চারা ঘরে আগুন দিয়ে খেলা করছিল সেখান থেকেও আগুন ধরতে পারে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি। সব হারিয়ে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে মোকছেদের বাড়ির লোকজন উঠানে পেঁয়াজ কাটছিল। এ সময় ঘরের ভেতর হঠাৎ আগুন জ¦লে উঠে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়ির অন্যান্য ঘরে ও মোকছেদের ভাই আরশেদের ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মারিয়া তার নানা আরেশেদ আলীর ঘরে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। অন্যান্য শিশুরা দৌড়ে চলে গেলেও মারিয়া তার নানার ঘরেই খাটের নিচে লুকায়। ঘরের চারদিকে আগুন ধরে গেলে মারিয়া খাটের নিচে পুড়ে মারা যায়। এ সময় মোকছেদের ২টি ও তার ভাই আরশেদের ২টি টিনের ঘরসহ মামালাল পুড়ে সম্পুর্ণ রুপে ভস্মিভূত হয়ে যায়।এলাকাবাসী ও সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রাণপণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
বাড়ির মালিক মোকছেদ জানান, আমার প্রায় নগদ দেড় লাখ টাকা, ১৬০ মন পেঁয়াজ, ৬০ মন পাট, ২৫ মন ধানাসহ আমাদের দুই ভাইায়ের ঘর ও মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা সব হারিয়ে পথে বসে গেলাম।
এ ব্যাপারে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ শিুশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে তাদের দুই ভাইয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং শিশুটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। লাশটি তার বাবা রুবেল নিজ বাড়ি নিয়ে গেছেন।
সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্র পাত হতে পারে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি তবে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি।