সাংবাদিক আখতার রহমানকে হত্যার হুমকি- বাঘা থানায় জিডি

শেয়ার করুন

সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান মুক্তার বিরুদ্ধে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমানকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।

সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমান অভিযোগ করেন, চলতি এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে অনুমতি নিয়ে একটি কেন্দ্রের গেটের ছবি তুলছিলেন ক্যামেরাম্যান সৈকত। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে কেন্দ্রে আটকে রাখেন। পরে কেন্দ্র সচিব তার ক্যামেরা ও মোবাইল ফেরত দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ক্যামেরাম্যান সৈকত অভিযোগ করেন, লেন্সটি তখনই অকেজো করে দেওয়া হয়।

ঘটনাটি সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমান মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। এর পরই সাবেক জেলা যুবদল নেতা ফজলুর রহমান মুক্তা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমানকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিকর মন্তব্য, বিকৃত ছবি ও মানহানিকর পোস্ট দেন। শুধু তাই নয়, তাকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করে ‘আওয়ামী লীগ নেতা’ আখ্যা দিয়ে একের পর এক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুৎসা রটিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালান।

পরবর্তীতে ফজলুর রহমান মুক্তা বাঘা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে “বাঘায় আ.লীগ নেতা আখতারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন” শিরোনামে সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমানের বিরুদ্ধে অসত্য বক্তব্য প্রচার করেন।

এ প্রসঙ্গে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ. এফ. এম আছাদুজ্জামান বলেন, “বিএনপি নেতার হুমকির অডিও রেকর্ড হাতে পেয়েছি। সাংবাদিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাংবাদিক মোঃ আখতার রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সততা, সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন।

এই ঘটনার পর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দসহ রাজশাহীর আটটি জেলা ও সকল উপজেলা কমিটির নেতারা পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ফজলুর রহমান মুক্তার এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা একে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, পেশাগত নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে আখ্যা দেন এবং অবিলম্বে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *