স্টাফ রিপোর্টর : স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন আতাইকুলার হতভাগা এক সন্তানের জননী। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল-২০২৩ খ্রি.) দুপুরে সিনসা সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আতাইকুলা থানার বনগ্রামের মোছা. সাবিনা খাতুন (৩৫) জানান, একই গ্রামের পাশের বাড়ীর নাজিম উদ্দিনের ছেলে ফজলু খা ১৯১৪ সালে তাকে ফুসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকায় ফজলু খার ফুফাতো বোনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের কথা বলে বিয়ে না করায় সাবিনা খাতুন বিয়ের দাবীতে ফজলু খার বাড়ীতে অবস্থান নেয়। অতপর স্থানীয় মৌলভী দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন করা হলেও কৌশলে বিয়ের রেজিস্ট্রি করে না ফজলু খা। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর রেজিস্ট্রি কাবিননামায় বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। তাদের গভীর সম্পর্কে ফলে সাবিনার গর্ভে সন্তান আসে। সন্তানকে অস্বীকার করেন ফজলু খা। এ ব্যাপারে ডিএনএ টেস্টে প্রমান হয় সন্তানটি তার। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর পাবনা শহরের হামিদা ক্লিনিকে সাবিনার গর্ভে জন্ম নেয় এক মেয়ে সন্তান। নাম রাখা হয় মারিয়া আক্তার ফাইমা। সন্তানের ভরণ পোষণ দেওয়া বন্ধ করে দেন ফজলু খা। ভরণপোষণ চাইতে তাঁর বাড়ীতে গেলে তিনি জানান সাবিনা কে তালাক দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা পাবনার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৫ নং আদালতে সাবিনা বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়। যার মোকদ্দমা নং সি / আর ৪২/ ২০২৩ ( আতাইকুলা)। ধারা ৯(১)। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে রেজিঃ কাবিন নামা মূলে পুনরায় বিবাহ করেন। বিবাহের পর তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সাবিনা খাতুন’র বাড়ীতে ফজলু খা বসবাস শুরু করেন। কয়েকদিন পর সাবিনা ফজলু খাকে তারবাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ফজলু খা বলেন শুধু মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তোকে আবার বিয়ে করেছি। তোকে নিয়ে ঘর করার জন্য বিয়ে করি নাই। এরপর ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সাবিনার কাছে যৌতুক হিসেবে ১ লক্ষ টাকা দাবী করেন ফজলু খা। টাকা দিতে অপরাগতা স্বীকার করায় তার উপর ফজলু খা ও তার বাড়ীর লোকজন তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে বাড়ী থেকে বেড় করে দেয়। শিশু সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছে সাবিনা খাতুন। বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট পাঠানোর পর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানো সহ প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে ফজলু খা। সংবাদ সম্মেলনে নিজের এবং তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তাসহ ফজলু খার কঠোর শাস্তি চান তিনি। এ ব্যাপারে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।