‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে—ডেপুটি স্পিকার

শেয়ার করুন

পাবনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্বের বুকে সমাদৃত। দেশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষ তথ্য প্রবাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফল ভোগ করছে। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা তাপ বিদ্যুত প্রকল্প কাজ চলমান। এ সব কিছু সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দুদর্শি নেতৃত্বে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে। তিনি এই স্কুল ও কলেজের শিক্ষর্থীদের শৃঙ্খলাবোধ দেখে মুগ্ধ হন। রোববার (২৬’ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ খ্রি.) ইমাম গাযযালী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পীকার আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে বিশ্বের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যার ফলে আলেম ওলামাগণ মনোরম পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারেন।

ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মাহফুজা সুলতানা, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রোস্তম আলী হিলালী, এডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, ইমাম গাযযালী ট্রাষ্ট কমিটির সেক্রেটারী আলহাজ্ব আবিদ হাসান দুলাল, ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আলহাজ্ব সামসুর রহমান খান মানিক ও রুবিনা ইয়াসমিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনা মো. শফিকুল ইসলাম ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. নাসিম আলী।

প্রতিষ্ঠানের গার্ল গাইডস’র শিক্ষার্থীরা প্রধান অতিথি-কে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শেষে ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সুধীজন ও স্থানীয়রা।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *