মুস্তাফিজুর : সম্প্রতি ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা করার একটি ভিডিও ভাইরাল করে একটি চক্র। সেই ভিডিও দেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাস ভবনে হামলা ও সেবায়েতকে হত্যা করে হামলাকারীরা। এই সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
২৩ অক্টোবর (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার ফেসটুন নিয়ে শহরের বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। বেলা ১২ টার দিকে শ্রী শ্রী জয়কালীবাড়ি মন্দির থেকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রর্দক্ষিণ করে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানবন্ধন অংশ নেয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা হিন্দু মহাজোটের আহবায়ক শ্রী আশিস বসাক, সদস্য সচিব সৌহাদ্য বসাক, যুগ্ন আহবায়ক অ্যাড. মলয় দাস রায়, সৌমেন সাহা ভানু, শ্যামল দেবনাথ, অ্যাড. দিপক রায় দিপু, অ্যাড ফুলমতি বসাক, অ্যাড. দেবদাস রায়, দিপঙ্কর দেবনাথ, যুব মহাজোটের আহবায়ক শুভ বসাক, সদস্য সচিব প্রসাদ রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি শারদীয় দূর্গা পূজার মধ্যে কুমিল্লার একটি মন্দিরে পূজামন্ডবের স্থানে পবিত্র কোরন শরীফ পাওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা হয়েছে। সেই ঘটনার আলোকে দেশের চাঁদপুর, নোয়াখালী, রংপুর, ফেনী, কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির গুলোতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির বাসভনসহ বেশ কিছু স্থানে প্রাণ হানির ঘটনা হয়েছে। এই ঘটনা দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাাবিক করার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। আজ সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে হামলা করা হচ্ছে। চরম নিরাপত্তা হিনতার মধ্ যদিয়ে বসবাস করছি আমরা। আবার কখন যেন কোন মন্দিরে হামলা হয় আবার কোন হিন্দু মানুষের প্রাণ কেরে নেয়া হয়। কুমিল্লার মন্দিরসহ দেশের সকল মন্দিরে হামলার ঘটনার সাথে জড়িতরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। একই সাথে দেশের সম্পৃতির বন্ধন নষ্ট করে যারা হত্যার খেলায় মেতেছে তাদের গ্রেফতার ও দেশের প্রতিটি মন্দিরে প্রশাসনিক নিরাপত্তার জোরদারের দাবি জানানো হয়।
সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ যৌথ ভাবে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের করে।