॥ ড. মো. মনছুর আলম ॥
করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, জ্বালানি তেল সংকট, গ্যাস সংকটসহ বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা সংকটের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়েছে ২০২২ সাল। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যদিও বছরটিতে করোনা কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তবুও ‘করোনা সংকট উত্তরণ বছর’ হিসেবে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। বিশেষ করে বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোশাক শিল্প সচল রাখা। বর্তমানে সে খাতেও লেগেছে উন্নয়নের হাওয়া। তাইতো বছর শেষে সবমিলে রপ্তানি আয়ে ছিল আকাশচুম্বী সাফল্য। বিগত বছরগুলোর সকল রেকর্ড ভেঙে গত নভেম্বর মাসে প্রথম বারের মত ৫০৯ কোটি এবং ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ ডলারেরও বেশি রপ্তানি আয় করে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো বিদ্যুৎ। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশে সর্বসাকুল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শেখ হসিনা সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি শতভাগ পূরণ করার পর হঠাৎ বৈশ্বিক মহামারি। বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বিশ^ব্যাপী জ¦ালানি তেল সংকট দেখা দেয়। যার ধাক্কা বাংলাদেশেও সজরে এসে আঘাত করে। ফলে গ্যাস উত্তলন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণসহ বিভিন্ন সেক্টরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপে স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের প্রথম ইউনিট আগামী বছরের এপ্রিল মাসে চালু হবে, যা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১ হাজার ৩২০ মেগওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ রামপাল, বাঁশখালি, মহেষখালি ও মদারবাড়িতে আরো ৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। গ্যাস ক্ষেত্রেও অভাবনীয় সাফল্য লক্ষ্য করা গেছে। ২০০৯ সালে সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে দেশে সর্বসাকুল্যে গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বঙ্গপোসাগরে অনুসন্ধানকৃত প্রাপ্ত গ্যাস, যার পরিমাণ হবে ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ২০২২ সালের ২৫ জুন শনিবার ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে; কারণ এই দিন দুপুর ১২টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সেতু ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করেন। অনেক বাধা-বিড়ম্বনা, অনেক ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অবশেষে সম্ভব হলো এই অসাধ্য সাধন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ৭ নভেম্বর ২০২২ উদ্বোধন করেন ‘শত সেতু’ অর্থাৎ ১০০টি সেতু। এই একশতটি সেতু বাংলাদেশের ৭টি বিভাগে ২৫টি জেলায় অবস্থিত যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৫,৪৯৪ মিটার। গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২’ উদ্বোধন হয়ে গেল দেশের ৫০টি জেলায় ২০২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সম্মিলিত দৈর্ঘ্যরে ১০০টি সড়ক ও মহাসড়ক। ১০০টি সেতু উদ্বোধনের দেড় মাস পর ১০০টি সড়ক-মহাসড়কের উদ্বোধন দেশের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসের আর একটি মাইলফলক ঘটনা ঢাকা মেট্রোরেল চালু। রাজধানির উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০কিমি পথের আপাতত আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার মেট্রোরেল লাইন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রা করেন। ২০২২ সালে ৮৮৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চতুর্থ বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। চলছে পূর্ণোদমে হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দর থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ। ১৩ হাজার ৩৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩৭টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন রেলসেতু নির্মিত হচ্ছে। এরমধ্যে যমুনা নদীর উপর ৪ দশমিক ৮কিমি দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু অন্যতম। নিরাপদ আকাশ জার্নি নিশ্চিত করতে বিমান বাংলাদেশ ইয়ার লাইন্সের বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে ১২টি অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ এবং ৩টি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ। আশা করা হচ্ছে, বর্তমান সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব সাফল্য ভবিষ্যৎ জিডিপিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০১৮ সালে নির্বাচনি ইসতেহারে সংযুক্ত হয়েছিল ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’-এর ঊর্বর ভাবনা। এ চিন্তা-ভাবনা শুধু কথায় নয়, কাজ পরিণত করার জন্য গ্রামকে শহরের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বর্তমান সরকার। দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া, ডিস লাইন, স্মার্ট টিভি-ফোন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন, কৃষক ঘরে বসেই কৃষিপণ্য সরবরাহ করা, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা, ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য করা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, গৃহহীনে গৃহ প্রদান, গ্রামের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পাকা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করে গ্রামকে-শহরের সাথে একসূত্রে গেঁথে দিয়েছেন। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পল্লি এলাকায় ৬৬ হাজার ৭৫৫ কিমি সড়ক উন্নয়ন, ৩ লাখ ৯৪ হাজার ব্রিজ-কালভার্ট, ১ হাজার ৭৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, ১ হাজার ২৫টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ৩২৬টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণ কাজ হয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জরুরি ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে শিশুমৃত্যু হার পাঁচ বছর বয়সি প্রতি হাজারে ২৮ এবং অনূর্ধ্ব এক বছর বয়সি শিশুমৃত্যু হার ১৫তে হ্রাস পেয়েছে। মাত্যৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে। করোনা মহামারিতে ২০২১ সালের জুনের শুরুর দিকে বাংলাদশের মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশের কম মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছিল। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের ফলে ২০২২ সালের জুন মাসে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ শতাংশেরও বেশি। সারা দেশে সামনের কাতারের স্বাস্থ্যকর্মীরা শহরাঞ্চলের বস্তি ছাড়াও মাঠঘাট নদ-নদী পাড়ি দিয়ে মানুষকে টিকা দিয়েছেন, মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন; সরকার শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে এসে স্কুলমুখী করেছেন। স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়নের জন্য মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ দশমিক ৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে উন্নত গবেষণা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশষ্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ মেট্রিকটন। ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশে এখন চতুর্থ অবস্থানে। আম-লিচু দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে এবং ইলিশ উৎপাদনকারী ১১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। কৃষিক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অব্যাহত নীতিসহায়তা ও প্রণোদনার প্রদান নীরব কৃষিবিপ্লবের প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। ফারাক্কা প্রভাব, তিস্তা প্রভাবসহ বৈশি^ক ও অভ্যন্তণীর জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবেলা করে কাঙ্খিত উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পূর্বেই ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ শীর্ষক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এদিকে ‘হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এবং সুপ্রিম কোর্টের ৪ জন আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে নদ-নদী সংক্রান্ত জনস্বার্থমূলক ৩৫০৩/২০০৯ রীট মোকদ্দমা দায়ের করেন ২৪ ও ২৫ জুন/২০০৯ তারিখে রায়ে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীসহ দেশের সকল নদ-নদী সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ‘তুরাগ নদী সংক্রান্ত রীট পিটিশন-১৩৯৮৯/২০১৬ এর ৩০/০১/২০১৯ তারিখে প্রদত্ত রায়ের ১৪ নং পৃষ্ঠায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের সমস্ত নদ-নদী সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) পাবনার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী সংক্রান্ত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ১০৭/২০২০ একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। ১২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে রায়ে পাবনা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী রক্ষায় ‘সিএস ম্যাপ অনুয়ায়ী সীমানা নির্ধারণপূর্বক অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরী করে কেন তাদের উচ্ছেদ করা হবে না, ক্ষতিকারক স্থাপনা অপসারণ করে কেন নদীর প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে না এবং নদীদূষণ রোধ করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেন। এর পরেও দেশের নদ-নদী রক্ষায় কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে ১৩ জুলাই একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রায় ৪ হাজার ৪৩৯ কিলোমিটার নদ-নদী, খাল ও জলাশয় খনন ও অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলে, যা এখনো অব্যাহত আছে।
২০২২ সালে সামাজিক সুবিধাবঞ্চিত অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের সুরক্ষার সোশ্যাল সেফটি, সর্বজনিন পেনশান স্কিম, স্বামী পরিত্যাক্তা নারীদের সহযোগিতা, ভিক্ষাবৃত্তি উচ্ছেদ, অটিজমসহ বিধিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের উন্ন্য়ন ও অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান, আশ্রয়ন প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারী শিক্ষা, বাল্যবিবাহ নিরোধ, নারীর ক্ষমতায়নসহ দেশের সকল সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়ন এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মধ্যদিয়ে নীরবে নিভৃতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই যুৎসই আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে উঠছে; বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন। ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত একটি উন্নত বাংলাদেশের জন্য যে কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সে সকল উৎরিয়ে এখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১’, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন ২০৩০’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার দিকে ধাবিত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২২’সাল সহ বিগত বছরগুলোতে এগিয়েছে দুর্বার গতিতে ভবিষ্যতেও এ গতি অব্যাহত রাখতে হবে; আর এ দায়িত্ব সকলের দেশের সকল জনসাধারণের। [লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক]