অর্থ আত্মসাতের দায়ে অনন্য’র এক সা‌বেক কর্মকর্তার সশ্রম কারাদণ্ড

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : অনন্য সমাজ কল্যান সংস্থা’র অর্থ আত্মসাতের দায়ে সাবেক কর্মকর্তা মোঃ তৈয়ব আলীকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎকৃত ২৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। ১৪ জুন ২০২২ খ্রি. পাবনা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এই আদেশ দেন। সে পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া দাশপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিন মোল্লা’র ছেলে। তিনি অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থার মুলাডুলি শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায় সংস্থায় কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ২০১৭ সালের ১১ মে পাবনার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং ০১ এ সংস্থার পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং সিআর ১৭৯/২০১৭ (ঈশ্বরদী)। পরবর্তীতে মামলাটি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে স্থানান্তর করা হয়। যার মামলা নং দায়রা ৯৬৪/১৭। সাক্ষ্য-প্রমাণে সন্দেহাতীত ভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক আসামী তৈয়ব আলীকে ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও আত্মসাৎকৃত ২৪ লাখ টাকা অনন্য সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে ফেরৎ প্রদানের নির্দেশ দেন। সংস্থার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাড মলয় কুমার দাস। আদালতের এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংস্থার গ্রাহক ও আমানতকারীরা।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বরনা খাতুন বলেন, অন্যায় করে যে কখনও পার পাওয়া যায় না এ রায় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে সংস্থার টাকা আত্মসাৎ করার সাহস পাবে না, অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

সংস্থা’র আইন সেলের প্রধান সেলিম আহমেদ জানান, অর্থ আত্মসাৎ করায় সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. লিয়াকত আলী, সাবেক উপ-পরিচালক (কার্যক্রম) মো. মতিউর রহমান সেলিম, সাবেক হিসাব বিভাগের প্রধান মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. মহিউল আলম আরজু (দুলাই বাড়ি), সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মো. টিপু বিশ্বাস, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আঃ গফুর, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ বছির আহমেদ, সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা, সাবেক মাঠ কর্মী প্রদীপ কুমার, মাঠ কর্মী এইচ.এম.এ সালাম, মিসেস তুরানী সুলতানা, মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ আশরাফুলসহ ১৩ জন সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা কোর্টে চলমান রয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *