বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। বিশ্বজোড়া অনুরাগিনী তার। ১৬ বছর বয়সের কিশোরী থেকে ৪৮ বছর বয়সের নারী, সবাই শাহরুখ বলতে পাগল। এক ঝলক দেখতে, একটু ছোঁয়া পেতেই তাদের বিশ্বজয়ের আনন্দ। বলিউডে পা রেখেই তাক লাগিয়ে দেন তিনি। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকদের মন কেড়ে নেন। ৫০-পেরিয়েও এভারগ্রিন শাহরুখ। আজও তার কদর কমেনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন মজার তথ্য। পরিবারের দেওয়া তার নাম ছিল আবদুর রহমান। বলিউডে পা দিয়ে শাহরুখ খান নাম ধারন করে ইন্ড্রাস্ট্রিতে রাজত্ব করেন দুই দশকেরও বেশি সময়।
ভারতের গণমাধ্যমের খবর, ছোটপর্দায় অনুপম খেরের চ্যাট শোয়ে হাজির হয়ে নামবদলের ইতিহাস জানান শাহরুখ নিজেই।
ছোটবেলায় শাহরুখের নাম ঠিক করা হয়েছিল আবদুর রহমান। ওই নাম রেখেছিলেন শাহরুখের দাদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথাও নথিভুক্ত করা হয়নি ওই নাম। নায়কের বাবা মীর তাজ মোহম্মদ তার সন্তানের নাম ‘শাহরুখ’ রাখবে বলেই ঠিক করেছিলেন এবং সেটাই রাখেন।
‘শাহরুখ’ নামের অর্থ যে রাজপুত্রের মতো মুখ সেকথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এই নাম প্রসঙ্গে মজা করে বাদশাহ আরো বলেছিলেন তিনি ভীষণ খুশি দাদীর দেওয়া নামটি যে তার ওপর বসেনি।
বলিউড নায়কের মজার যুক্তি, ‘বাজিগর’ সিনেমায় নায়কের নাম হিসেবে আবদুর রহমান হিসেবে সেটা মোটেই জুতসই বা শ্রুতিমধুর হতো না। ওই শোয়ে আড্ডার ফাঁকে সঞ্চালক অনুপম মজা করেই শাহরুখকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আবদুর রহমান’ নামের কোনও ব্যক্তিকে চেনেন কি না?
মুচকি হেসে শাহরুখ তখন জবাব দেন, না, আমি এরকম নামের কাউকে চিনি না। তবে ছোটবেলায় আমার নামই আবদুর রহমান রাখা হয়েছিল!
নাম নিয়ে শাহরুখ আরো বলেন, আমার নামের মানে যদিও রাজপুত্রের মতো মুখ, তবে নিজেকে আয়নায় দেখে সেটা আমি একটু অদলবদল করে নিয়েছি। আমি এখন নিজের নামের অর্থ হিসেবে বলি প্রিন্স চার্লসের মতো আমার মুখ। ওর মতো আমার নাকও বেশ বড় তো। এই আর কি!