মনছুর আলম : ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণ মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এই মেগা প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হওয়ায় পাবনাবাসী অত্যন্ত খুশী হয়েছেন। নদী তীরের লোকজনও বলাবলি করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাড়া এই কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব ছিল। ইছামতি প্রকল্পের এই কাজকে মোট ছয়টি স্লটে ভাগ করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস আহাদ বিল্ডার্স খনন কাজ করছে এবং তত্ত্বাবধান করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। কাজের শেষ সীমা ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ ২০২৭ খ্রি. পর্যন্ত। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিসিএল বা তানভির কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে ২৩টি ব্রিজ নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে।
সূত্র মতে, এই ব্রিজগুলোর মধ্যে রয়েছে- ০১. সূতিখালী ব্রিজ (বেড়া পাম্পিং স্টেশনের পাশে ১২ ভল্টের স্লুইসগেট আছে সেটা); ০২. আতাইকুলা-বৃহস্পতিপুর (আতাইকুলা-রঘুনাথপুর ব্রিজ যেহেতু এলজিইডি নতুন তৈরি করেছে সেহেতু ব্রিজটি আতাইকুলা-বৃহস্পতিপুর হবে); ০৩. শিবপুর ব্রিজ; ০৪. শিবপুর মাদ্রাসা ব্রিজ; ০৫. ভাঙা কালীবাড়ি ব্রিজ (মৌগ্রাম); ০৬. সরদারপাড়া ব্রিজ; ০৭. উত্তর শালগাড়িয়া শ্মশানঘাট ব্রিজ; ০৮. সিংগা মালিথাপাড়া ব্রিজ; ০৯. সিংগা প্রাইমারি স্কুল ব্রিজ; ১০. এডওয়ার্ড কলেজ ব্রিজ; ১১. কালীবাড়ি ব্রিজ; ১২. খেয়াঘাট ব্রিজ; ১৩. পৌলানপুর ব্রিজ; ১৪. গোবিন্দা ব্রিজ (ডেলিভারি মোড়); ১৫. গোবিন্দা ব্রিজ (আদর্শ মহিলা কলেজের পাশে); ১৬. গোপালপুর ব্রিজ (মেটে সড়কের পাশে); ১৭. ডা. অমিত সিদ্দিকী ব্রিজ (আটুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে); ১৮. কাচারিপাড়া-মন্ডলপাড়া ব্রিজ, ১৯. মন্ডলপাড়া ব্রিজ (লালু সরদারের বাড়ির আগে); ২০. অনন্ত ব্রিজ; ২১. রামচন্দ্রপুর ব্রিজ; ২২. চরশিবরামপুর ব্রিজ (মাদ্রাসা সংলগ্ন স্লুইসগেট ব্রিজ) এবং ২৩. ভোমরা কোল ব্রিজ।
তানভীর কনস্ট্রাকশন লিমিটেড খুব শীঘ্রই ব্রিজগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। কারণ তারা এরইমধ্যে হাজীর হাটে চামড়ার গোডাউনের পাশে ক্যাম্প স্থাপন করে মালামাল রাখতে শুরু করেছে। সূত্র মতে, নদী খনন কাজে ১৪৬টি ভেক্যু মেশিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি একটানা এই খনন কাজে করে চলছে। উল্লেখ্য, পাবনা ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণের এই মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।