ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ১১ টন স্ক্র্যাপসহ খোয়া যাওয়া একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। মঙ্গলার (২ আগস্ট) খোয়া যাওয়া গাড়ীটি ভেড়ামারা থানা পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
ঘটনার বিবরনিতে জানা যায়, উল্লেখিত তারিখে মো নবির নামে একজন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র থেকে ১১ টন স্ক্র্যাপ কিনে ঢাকা মেট্টো ট ১৮-০১৫১ নম্বরের একটি ট্রাকে সেগুলো নিয়ে রুপপুর পারমানবিক এলাকা থেকে বের হওয়ার পর ট্রাকটি কোন অদৃশ্য কারনে উধাও হয়ে যায়। সে সময় ট্রাকের চালকের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকার কারনে শত চেষ্টার পরও নবির ট্রাকটির কোন সন্ধান না পেয়ে শঙ্কিত হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মৌখিক ভাবে একটি মিসিং অভিযোগ করেন।
ট্রাকটি মিসিংয়ের বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সম্ভাব্য থানা গুলোতে ট্রাক মিসিংয়ের বিষয়টি অবহিত করলে অভিযোগের দিন রাত সোয়া ৮ ঘটিকার দিকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানা এলাকা থেকে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহনকারী ভেড়ামারা থানার এস আই জুনায়েদ আহম্মেদ মিন্টু বলেন, ঈশ্বরদী থানার তদন্ত কর্মকর্তা থেকে ঈশ্বরদী হতে একটি ট্রাক মিসিংয়ের অভিযোগ পায় ভেড়ামারা থানা। তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২ আগস্ট ভেড়ামারা উদ্দিপন মোড় এলাকায় সন্ধ্যা আনুমানিক সোয়া ৮ ঘটিকার সময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় স্ক্র্যাপ ভর্তি একটি ট্রাক পরে থাকতে দেখে সেটাকে জব্দ করি।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকটিকে জব্দ করার সময় সেখানে চালক বা অন্য কারো উপস্থিতি না পেয়ে বিয়টি ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে তৎক্ষনাত অবহিত ও নিশ্চয়ন করি এবং পরেরদিন বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭ ঘটিকার দিকে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে ট্রাকটি হস্তান্তর করেছি।
ট্রাকটির সম্পর্কে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, ২ আগস্ট নবির নামের একজন ব্যবসায়ী আমাদেরকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে জানান, তার কেনা ১১ টন স্ক্র্যাপসহ একটি ট্রাকের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাক চালকের মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে দুশ্চিন্তা আরও ঘনিভূত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। আমরা তার অভিযোগ তৎক্ষনাত আমলে নিয়ে আশপাশের থানা গুলোকে মিসিংয়ের খবরটি পৌঁছে দেই।
ওসি আরও বলেন, ট্রাকটি উদ্ধারে আমাদের তৎপরতার এক পর্যায়ে অভিযোগকারী নবিরের ভাই ট্রাক চালকের সঙ্গে তার যোগাযোগের কথা আমাদের জানান। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ট্রাকটির অবস্থান ছিলো ভেড়ামারা কাউন্টার এলাকায়। বিষয়টি জানার পর আমরা ভেড়ামারা থানার সাথে যোগাযোগ করে ট্রাকটি তাদের হেফাজতে নেওয়ার কথা বললে তারা ট্রাকটি নিজেদের হেফাজতে নেন এবং আমাদের সেখানে নিশ্চিত করতে ডাকলে আমরা সেখানে বাদী সহকারে গিয়ে শনাক্ত করে পরের দিন সকালে ট্রাকটি আমরা আমাদের হেফাজতে নেই এবং তার সকল ক্রয়ের কাগজপত্ত্রের বৈধতা নিশ্চিত করে তার মালসহ ট্রাকটি তাকে হস্তান্তর করি।
এ ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অরবিন্দ সরকার বলেন, বাদি তার মালামাল বুঝে পেয়ে কোন প্রকার অভিযোগ করতে নাকচ করার কারনে এ বিষয়ে কোন প্রকার মামলা হয়নি।
মাল ফেরতের পর কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করা, ট্রাক চালক তার মোবাইল বন্ধ করে কার অনুমতিতে ট্রাকটি ভেড়ামারা এলাকায় নিয়ে আত্মগোপনে গিয়েছিলো সে বিষয়ে চালককে জিজ্ঞাসা না করে কোন কুচক্রি মহলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে ।