পিপ : ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজলতলা মোড়ে মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করায় অনিক হোসেন (২৪) নামের কসাইকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল (শনিবার) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস নিজ কার্যালয়ে আদালত বসিয়ে এই রায় দেন। আটক অনিক কসাই ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের সিরাজ আলী মন্ডলের ছেলে।
আটক কসাই অনিক, থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কসাই অনিক দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা সিরাজ মন্ডল, চাচা মিরাজ মন্ডল ও ভাই জনি মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা গরু ও চোরাই গরু ক্রয় এবং জবাই করে মাংস বিক্রয় করে আসছিলো। গত শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে গরু বোঝাই করে ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে প্রায় ৫ মন ওজনের একটি এঁড়েষাঁড় গরু মারা যায়। পরে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড়ে ব্যবসায়ীরা মরা গরুটি নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে কসাই অনিক সন্ধ্যার পর গরুটি নিজ বাড়ি এলাকায় ভূটভুটি যোগে নিয়ে আসে। রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বকুল মালিথার বাড়ির সংলগ্ন পাকা রাস্তা নির্জন ঠান্ডা তলায় জবাই করে। এরপর মৃত গরুটি সেখান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে তিলেকপুর গ্রামের নির্জন এক বাঁশ বাগানে নিয়ে মাংস কাটে। সেই মাংস আজিজল তলা মোড়ে বিক্রয় শুরু করে।
সুত্রগুলো আরো জানায়, রাস্তায় জবাইকৃত গরুর রক্ত পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ জাগে। রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তের সুত্র ধরে অনেক খোঁজাখুজির পর এলাকাবাসী সত্য ঘটনা জানতে পেরে মাংসসহ কসাই অনিককে আটক করে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ রাত ২ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কসাই অনিককে আটক করে। এই সময় অনিকের চাচা মিরাজ মন্ডল, ভাই জনি মন্ডল ও বাবা সিরাজ মন্ডল পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক সমস্ত মাংস পুঁতে ফেলা হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস জানান, মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রয়ের অপরাধে কসাই অনিক হোসেন মন্ডলকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, আটক কসাই অনিককে বিকেলে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।