ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউপি সদস্য কর্তৃক নিজেকে লাঞ্চনার অভিযোগ এনে মেম্বার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দরগাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বকুল তাকে হেনস্তা করার অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন একই ওয়ার্ডের মেম্বর ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আলাউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ দিনব্যাপী দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠান পরিচালনা শেষে রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার দিকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী যাওয়ার পথে মো. রফিকুল ইসলাম বকুলের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে দাঁড়ান এলাকার কিছু সাধারন জনতা। এ সময় বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জমি দানকারী পরিবারের সদস্য ও সাবেক সভাপতিকে কেন আমন্ত্রণ করা হলো না জানতে চায় উৎসুক জনতা।
এ সময় অত্র বিদ্যালয়ের জমি দাতা খবির উদ্দিন মোল্লার নাতি মো. আনিসুর রহমান মোল্লা এবং অপর আরেকজন দাতা সদস্য মো. শমসের আলী শেখের সন্তান মো. মোস্তফা কামাল শেখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং প্রধান শিক্ষককে হোন্ডা থেকে নেমে চায়ের দোকানে বসে আলোচনা করার অনুরোধ করেন।
পরবর্তীতে এ বিষয়টিকে পুঁজি করে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বকুল থানায় এসে একই অঞ্চলের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন কে প্রধান আসামী করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মামলার আসামী মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, বিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনূষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাসসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। আমি সারাদিন সেখানেই উপস্থিত ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, এমপি মহোদয় আসরের নামাযের সময় চলে যাওয়ায় এবং দাশুড়িয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকায় মাগরিবের নামাজ আদায় করেই আমি দাশুড়িয়াতে চলে যাই এবং সেখানেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমি সেখান থেকেই আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে এলাকাবাসীর ঘটনাটি জানতে পারি। অথচ পরের দিন শুনতে পায় উক্ত ঘটানায় আমাকেই জরিয়ে মামলা করা হয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য আরও বলেন, ২০১৪ সালের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে মামলার বাদী প্রধান শিক্ষকের সাথে আমাদের পারিবারিক একটি বিরোধ বর্তমানেও চলমান রয়েছে । হতে পারে সেই বিরোধের জের ধরেই আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এহেন মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেছে উক্ত শিক্ষক।
জানতে চাইলে মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, স্থানীয়রা আমাকে ধাক্কাধাক্কি করেছে, হোন্ডা থেকে নামানোর সময় হাতে মোচর লেগেছে সে কারণে হাতটা সামান্য ব্যাথা করছে এছাড়া তেমন কিছু কেউ করেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ স্বাক্ষী অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তেমন কেউ মারেনি হেড স্যারকে। গাড়ী থেকে নামানোর সময় হাতে মোচর লেগেছে আর এলাকাবাসি গালি গালাজ করেছে এই যা উচ্চবাচ্য কথা।