তুহিন হোসেন (ঈশ্বরদী) : ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুধবার (১৭ই আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টার হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার শামীম এর চেম্বারে দেখা যায় অন্য একজন ডাক্তারকে। সেখানে ডাক্তার শামীম কে দেখানোর জন্য রোগী এসে ফিরে যাচ্ছে। ডাক্তার শামীম হাসপাতালের আর এম ও’র দায়িত্বে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে ঈশ্বরদীতে নিজের বাড়ী হওয়ার সুবাদে এমন একটি বলয় তৈরি করছেন তিনি হাসপাতালে এসে শুধু হাজীরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে গেলেও বলার কেউ নেই।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবী ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক থেকে দেড়শ গজের মধ্যে শামিম তৈরী করেছেন তার নিজস্ব আলো জেনারেল হাসপাতাল। তিনি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথাযত ডিউটি পালন না করে চলে যান।
এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগিদের। যদিও ডাক্তার শামিম বিভিন্ন সময় বলেছেন আলো ডায়গনস্টিক হাসপাতালের মালিক আমার স্ত্রী। তবে সম্প্রতি আলো জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত একজন রিসিপসন্ট এর প্রশ্নবিদ্ধ আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে সৃস্ট পরিস্থাতিতে শামিম নিজেকে আলো জেনারেল হাসপাতালের মালিক দাবী করে লিখিত বক্তব্য রেখেছেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন দায়িত্বশীল কর্মচারী জানান এই ডাক্তার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন কথা বলে সাহস পায় না। তার ভাড়া করা গোন্ডার কমতি নেই ।
শামিম ডাক্তারের অনুপস্থিতি সম্পর্কে তার একজন সহকারী ডাক্তার বলেন, স্যার ওটিতে না হলে ওয়ার্ডে রাউন্ডে রয়েছে। পরে প্রতিবেদক ওয়ার্ডে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সরা বলেন শামীম স্যার ওয়াার্ডে নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খাঁনের সাথে তার দপ্তরে গিয়ে কথা বললে তিনি জানান, সকালে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু এখন কোথায় গিয়েছে এটা আমি বলতে পারব না।
ডাক্তার শামীম অপারেশন থিয়েটারে ও ওয়ার্ডে রাউন্ডে আছেন কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপারেশন থিয়েটার আমাদের অজ্ঞানের ডাক্তার রয়েছে। ওনার ওখানে কোন কাজ নেই। আর ওয়ার্ডের রাউন্ড সেটা তো সকাল নয়টার দিকেই শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সামনেই ডাক্তার শামীমের মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।