বেশ কিছুদিন ধরে মন ভালো নেই উত্তর কোরিয়ার মানুষদের। কোনোরকমে কান্না চেপে রাখছেন তারা। কিন্তু কেন? বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, শীর্ষনেতা কিম জং উনের শারীরিক ওজন খানিকটা কমে গেছে মনে হওয়াতেই নাকি এই অবস্থা উত্তর কোরিয়ায়। এক লোক তো টিভি সাক্ষাৎকারে বলেই ফেলেছেন, কিমের ‘রোগা’ চেহারা দেখে তাদের হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গেছে।
উত্তর কোরীয় শীর্ষনেতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। এমনকি তার বয়সও নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হয়, কিমের বয়স এখন ৩৭ বছরের মতো। তবে আগের তুলনায় সম্প্রতি তাকে টেলিভিশনে কিছুটা রোগা মনে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম।
জানা যায়, মাসখানেক জনসমক্ষে না আসার পর সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমে দেখা যায় কিমকে। সেই ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির শাসকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনারি সেশন শেষে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছেন কিম ও দলের অন্য নেতারা। আর সেই ভিডিও দেখেই মন ভেঙে গেছে তার ভক্তদের।
এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কেআরটি’তে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, সম্মানিত সেক্রেটারি জেনারেলকে (কিম জং উন) এমন রোগা দেখে জনগণের মন ভেঙে গেছে। সবাই বলছে, তাদের চোখে অশ্রু এসে গেছে।
উত্তর কোরিয়ার এ স্বৈরশাসক মদ্যপান ও ধূমপানে আসক্ত। তার পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাসও রয়েছে। তার মধ্যে গত বছর দীর্ঘদিন জনসমক্ষে আসেননি কিম। সেসময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, হয়তো শরীর খারাপ হয়েছে তার? ওই সময় উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি কিম জং উন। পরে অবশ্য মে মাসের শুরুর দিকেই ফের জনসমক্ষে আসেন তিনি।
কিন্তু এবার ফের তার ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সত্যিই শরীর খারাপ থাকলে কিম কখনোই জনসমক্ষে আসতেন না।