বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পাবনা’র প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্ণীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরনের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন বিদ্যালয়টির অনৈতিক সুবিধাভোগী ৩ সিনিয়র শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে অসমাঞ্জস্য ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি ও বিভিন্ন কেনাকাটার নামে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। ৩ বছর কোন কমিটি না থাকায় তিনি প্রকাশ্যে এসব অনৈতিক অর্থ লেনদন করে বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছেন।
২০১৯ খ্রি. কেনা কাটার জন্যে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি করেন। কিন্তু কমিটির সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই নিজের পছন্দমত একজন সহকারি শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ইচ্ছেমত বিল ভাউচারের মাধ্যমে কেনাকাটা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিগত ৩ বছর শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সরঞ্জাম ও বিজ্ঞানাগারের সরঞ্জাম এগুলো তদারকি করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
কয়েক বছরে বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান ও পরিবেশ ক্রমান্বয়ে খারাপ হতে থাকে। এই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফলও আশানুরুপ নয়। প্রধান শিক্ষকের উদাসীনতার কারণে শিক্ষার্থী আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কোন ইভেন্টে অংশ নিতে পারে না। ক্ষেত্র বিশেষে কোন প্রতিযোগিতায় স্থানীয় পর্যায়ে অংশ নিলেও বিদ্যালয়ে চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় অনুশীলনের ব্যবস্থা না থাকায় একদম শেষ স্টেশনের যাত্রী হয় কৃষ্ণপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতি হওয়টাই সাভাবিক, আইসিটি ক্লাসের জন্য বিদ্যালয়ে ৮টি কম্পিউটার ছিল। শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিখত এবং অনুশিলন করতো। ২০১৭ খ্রি. থেকে তিনি কম্পিউটর নিজের হেফাজতে নিয়েছেন। ২০১৮ খ্রি. থেকে ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। এই কারণে দুইটি কম্পিউটার কোন রকম সচল রয়েছে, বাকী ৬টি কম্পিউটার দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অনেক সময় বিশেষ কিছু বোঝাতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করা হতো। এর মধ্যে মাল্টিমিডিয়া গুলো ব্যবহার না করায় ১টি নষ্ট হয়ে ২ বছর যাবৎ পরে আছে। বাকীটাও এখন নষ্ট হওয়া সময়ের ব্যাপর মাত্র।
এসব অনিয়ম নিয়ে ঐ সময়ের জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোসলেম উদ্দিন জানান, কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি, সেচ্ছাচারিতা ও অশালীন আচরনের ব্যাপারে জেনেছি। যেহেতু বিদ্যালয়টি সরকারি সেই ক্ষেত্রে পদাধিকার বলে সভাপতির দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের। সম্মানিত জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়টির অনিয়ম নিয়ে ঐ সময়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহেদ পারভেজ জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আসছে, তাকে বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেন শুনছেন না আমার বোধগম্য নয়।
ঐ সময়ে পাবনা’র জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ জানান, প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করলে তিনি তাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি, সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নিয়ে বিদ্যালয়টির ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কয়েকজন শিক্ষক পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স’র নিকট স্বরণাপন্ন হন। তিনি শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে শিক্ষকদের আস্বস্ত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক শিক্ষক বলেন আমরা সব জানি বুঝি, এসব কথা বললে আমাদের স্থানান্তর করে বান্দরবন পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন, এমনকি চাকরি থাকবে না বলেও হুশিয়ারি দেন। প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন, সিনিয়র শিক্ষক এবিএম ঈদ্রীস আলী সরকার, সিনিয়র শিক্ষক নাসরিন খাতুন এবং মাহমুদুল হাসান যোগসাজসে সকল অনিয়ম, দূর্ণীতি ও সেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন সেগুলো আমাদের ব্যথিত করে।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও বর্তমান পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন সম্প্রতি এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করলে, প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন আচরন করেন এবং বলেন আমার আত্মীয় এমপি আছে।
এতো কিছুর পরেও বিষয়গুলো নিরসন না হওয়ায় ২০১৯ খ্রি. ৪ আগস্ট প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি, সেচ্ছাচারিতা সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়টির ৭ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উপ-পরিচালকের কার্যালয় রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উপ-পরিচালক সমীপে প্রেরণ করেন।
এরই প্রেক্ষিতে রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী ২০১৯ খ্রি. ২৪ আগস্ট পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগের ছায়ালিপি সহ প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ পারভীন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও অশালীন আচরনের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে আদেশ দেন। পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোসলেম উদ্দিন সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে সকল অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মতামত দেন কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য শুন্য পদে একজন প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা অথবা প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ পারভীন কে অন্য বিদ্যালয়ে বদলী করে ঐ পদে একজন সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
এই প্রতিবেদন দেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং ব্যবস্থা নেওয়া তো দুরের কথা উল্টো তাকে পদন্নতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করা হয়। তারপর থেকে প্রধান শিক্ষক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই। এদেশে বেড়া ক্ষেত খায়, তারপরও ফসল রক্ষার জন্য বেড়া’র উপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কৃষ্ণপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনালগ যুগেই পরে আছেন।
বাংলাদেশের ১৭ মহকুমার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রচীন জেলা পাবনা। সব কিছু যেখানে ডিজিটাল হচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই শহরের একটি পানের দোকানেও যেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কিন্তু নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রধান শিক্ষক সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা করেন না। সিসি ক্যামেরা থাকলে প্রতিনিয়ত যোগ্যতা এবং অতিরিক্ত গুণ সম্পন্ন শিক্ষকদের ডেকে অপমান, অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ, এবং যত্রতত্র বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের রুমে ডেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজের বাহাদুরী প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হবেন।
ভৌগলিক কারণে বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, দক্ষিণ পার্শ্বে পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, উত্তর পার্শ্বে পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান এবং উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বসতবাড়ী। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয়টি সরকারি করণ হয়েছে। অনেক সময় তারা জনসেবায় ব্যস্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়টির সঠিকভাবে খোঁজ খবর রাখতে পারেন না। সেই সুযোগ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন নিজের খেয়াল খুশি যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন’র খামখেয়ালী সেচ্ছাচারিতার কারণে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বার্ষিক পরীক্ষার ৯ম শ্রেণির ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নে ৬৯টি ভুল, দ্বিতীয় পত্রে ২৪টি, অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্নপত্রে ২৩টি, সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি প্রথম পত্রে ৮০টি, দ্বিতীয় পত্রে ১৭টি, ষষ্ঠ শ্রেণির প্রথম পত্রে ৭৪টি দ্বিতীয় পত্রে ৭টি ভুল থাকায় অনেক অভিভাবকবৃন্দ মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজের মেয়েদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া জামান মীম (রোল-৪০) এই বিদ্যালয় ছেড়ে পাবনা কালেক্টরেট স্কুলে চলে গেছে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদি মাহমুদ(রোল-৬০) টিসি নিয়ে পাবনা কালেক্টরেট স্কুলে ভর্তি হয়েছে। নিজের ভবিষ্যত অন্ধকার বুঝে টিসি নিয়ে পুলিশ লাইন্স স্কুলে যাওয়ার জন্য একপায়ে দাঁড়িয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবাইদা (রোল-৭৭)।
এসব অভিযোগের বিষয় নিয়ে রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী এর সাথে মুঠোফোনে কল দিলে মোবাইল রিং কেটে দেন।
প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন ২০১৬ খ্রি. সহকারি শিক্ষক হিসেবে পাবনা জেলা স্কুল থেকে বদলী হয়ে কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০১৭ খ্রি. জুন মাসে তিনি (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পান। কয়েক মাস পরে চলতি দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ খ্রি. তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে পদন্নতি পেয়ে প্রধান পদায়ন হউন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি নামমাত্র সপ্তাহে একটি ক্লাস নেন। অষ্টম শ্রেণির গার্হস্থ বিজ্ঞান কøাস মঙ্গলবারের রুটিনে ৩য় ও ৫ম প্রিয়ডে দুইবর ভুল করে ৫ মাস চলছে ঠিক করার কেউ নেই। এবার ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল খুবই হতাশা ব্যাঞ্জক। ৭৫ জন শিক্ষার্থীদের মাধ্যে সব বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র ১৭ জন।
এসব অনিয়মের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন সাংবাদিককে বলেন, এক দুই সাংবাদিক নিউজ করে কি করবে? অনেক সিনিয়র সাংবাদিক আমার আত্মীয়, ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনের সংসদ সসদ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস আমার নিকট আত্মীয়।
পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) মাহফুজা সুলতানা এসব অনিয়মের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। এর আগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি এগুলো জানি না।
সচেতন মহল মনে করছেন, এমন অনিয়ম, দূর্ণীতি ও সেচ্ছাচারিতা চলতে থাকলে কৃষ্ণপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত মেধা বিকাশ ও ভাল ফলাফল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয় যেভাবে প্রশ্নপ্রত্র ভুল হচ্ছে, বিজ্ঞানাগার ও আইসিটি ক্লাসে অনুশিলনের অভাব, খেলাধুলা নেই বললেই চলে, শিক্ষার্থীরা অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হওয়া, তাতে ভবিষ্যতে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর ভর্তি হতে আসবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আগেই যদি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হতো আজকের এমন পরিস্থিতি কাউকে দেখতে হতো না। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বদলী নয় স্থায়ীভাবে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেন অভিযোগকারী শিক্ষক ও সুধীজন।