মুক্ত চেতনা ডেস্ক : জনপ্রিয় গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো. হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা।
ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব জানান, গত ১৫ জুলাই রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। শুক্রবার (২৩’জুলাই) রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আমিনা সুলতানা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
কয়েক দিন ধরে জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন ফকির আলমগীর। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। করোনার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয় ফকির আলমগীরকে। সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয়।
গণসংগীত ও দেশীয় পপসংগীতে তাঁর রয়েছে ব্যাপক অবদান। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘ও সখিনা গেছোস কিনা ভুইলা আমারে’ আবহমান বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী একজন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।
