তাহলে কী টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট স্কোয়াড আলাদা হচ্ছে বাংলাদেশের?

শেয়ার করুন

জৈব-সুরক্ষা বলয়ের জীবন বদলে দিয়েছে ক্রিকেটে অনেক বাস্তবতা। লম্বা সময় বলয়ে থেকে খেলার মানসিক ধকল এখন ক্রিকেট বিশ্বজুড়েই তুমুল আলোচিত। অন্য অনেক বোর্ডের মতো বিসিবিও ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর কথা ভাবছে। খুব সহসাই অবশ্য নয়। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানালেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ‘রোটেশন পলিসি’ চালু করবেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটও সুরক্ষা বলয়ে থেকেই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটারদের বিরতি চাওয়াও তাই নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সামনের জিম্বাবুয়ে সফরে একই সংস্করণে খেলবেন না মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের সামনে ভীষণ ব্যস্ত সূচি। ক্রিকেটারদের মানসিক চাপের কথা তাই গুরুত্ব দিয়েই ভাবছে বিসিবি। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান জানান, আগে থেকেই রোটেশন চালু করার পরিকল্পনা তাদের ছিল। “রোটেশন চালু করার কথা এখন মনে হচ্ছে, তা নয়। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড আর টেস্ট স্কোয়াড এক হতে পারে না। আমাদের মূল খেলোয়াড়রা তিন ফরম্যাটেই থাকে, যার কারণে তাদের ওপর অবশ্যই চাপ পড়ে। এ মুহূর্তে এটা বদলানো কঠিন। তবে আমি মনে করি টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আমরা এটা করতে পারব। আমাদের এটা করতে হবে, আর কোনো পথ নেই।” ভিন্ন সংস্করণে ভিন্ন দল গঠনের কথাও বিসিবি প্রধান নানা সময়ে বলেছেন। আবারও তিনি বললেন, ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে ভিন্ন ভিন্ন দল প্রয়োজন। “পরের স্তরে যেতে হলে আমাদের দল আলাদা লাগবেই। যেমন ধরুন, পাকিস্তান বাংলাদেশে খেলতে আসবে বিশ্বকাপের পর (নভেম্বর-ডিসেম্বরে), তখন (বাংলাদেশের) নিউজিল্যান্ড সফর। দুই দল তো লাগবেই! কোয়ারেন্টিন আছে, আগে চলে যেতে হবে। তাহলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে কে? বিশ্বকাপের পর আমরা রোটেশন পলিসি শুরু করব এবং চেষ্টা করব আলাদা


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *