সুস্থ থাকার জন্য আমরা খাবার খেয়ে থাকি। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ভরপেট খেয়েও শরীর দুর্বল থাকে। কোনো কাজেই তারা তাল পান না। শরীর অসাড় লাগে, তাই কাজে উৎসাহও আসে না।
যদি এমনই লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে, তবে এখন থেকেই খাবার বাছাইয়ে সাবধান হন। এমন খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন যা আপনার দেহে শক্তি যোগাবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক খাবারের তালিকায় যে খাবারগুলো রাখলে সারাদিন শরীরে শক্তি পাওয়া যাবে-
ওটস
প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারটি শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়াবে না। উল্টো দেবে ক্যালরির যোগান। আবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা ভাবটাও বজায় থাকবে।
দই
দইয়ে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও দরকারি ফ্যাট, যা শরীরে শক্তি যোগায়। সকালে বা দুপুরে দই খেলে সারাদিন শরীরে থাকবে চাঙ্গাভাব। দই হজমেও সাহায্য করে। তাই গ্যাস্ট্রাইটিসজনিত অস্বস্তি দূর হয়।
স্প্রাউটস
ছোলা ও সিমের বীজ যদি অঙ্কুরিত অবস্থায় খাওয়া যায় তবে তা শরীরের জন্য খুব উপকারী। একে বলা হয় সুপারফুড। স্প্রাউটস আপনার শরীরকে শুধু সতেজই রাখবে না, প্রয়োজনীয় আয়রনও যোগাবে।
কলা
প্রাকৃতিক সুগারে পরিপূর্ণ কলা শরীরকে সতেজ রাখার জন্য অন্যতম সেরা খাদ্য। একটি কলা খেলে যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের শরীর সতেজ থাকে তা আর অন্য ফলে পাওয়া যায় না। পটাশিয়াম ও আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় কলাকে সবসময় আদর্শ ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও তিসি মানুষের শরীরে বেশ শক্তি যোগায়। তাই প্রতিদিন খাবার তালিকায় এসব খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এর মধ্যে মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও সূর্যমুখীর বীজ নানা ধরনের খনিজের চাহিদাও পূরণ করবে।
কাওন
কাওনে আছে প্রচুর প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ যা শরীরে শক্তি যোগালেও মেদ জমতে দেবে না। সারাদিন সতেজ থাকতেও কাওন খুব কাজের। ভাতের বিকল্প হিসেবেও কাওন বেশ উপযুক্ত। চালের মতো ধুয়ে পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে এলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জ্বাল কমিয়ে রাখুন। এরপর ভর্তার মতো নেড়ে মুরগি বা মাছ দিয়ে খেতে পারেন। কাওন আমিষ ও আঁশে পরিপূর্ণ একটি খাবার। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল ও ম্যাঙ্গানিজ। এটি গ্লুটেন-মুক্ত।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।