নারী শিক্ষকের মারপিটে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা সদরের দোগাছী ইউনিয়নের কোমরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন তিথির এলোপাথারি মারপিটে সাদিয়া আফরিন (১০) নামে এক শিক্ষার্থী মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় ছুটির আগে ক্লাসের অবসরে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বর্ণ দিয়ে গান গাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু করেন। পালাক্রমে চলতে থাকা এই গানের খেলা চলার সময় শিক্ষিকা তাসলিমা খাতুন তিথি ওয়াশরুম থেকে ফেরার সময় ক্লাসে ঢুকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়ার কণ্ঠে “রুব্বানে নাছে কোমর দুলাইয়া” এ গানটি শুনতে পায়। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাসলিমা তিথি রুমে ঢুকে সাদিয়ার নাকে মুখে এলোপাথারি মারপিটে শুরু করে। এক পর্যায়ে সাদিয়ার চুলের মুঠি ধরে মেঝে ও বেঞ্চের সাথে মাথা ঠুকায়। ক্লাসের শিক্ষার্থীরা নিষেধ করলেও ম্যাডাম শোনে নাই। সাথে সাথে আহত সাদিয়ার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে অপর শিক্ষার্থীরা দৌড়ে অফিস রুমে খবর দিলে অন্যান্য শিক্ষকেরা গিয়ে সাদিয়াকে মাথায় নাকে মুখে পানি ঢেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সহপাঠি শিক্ষার্থীদের কাঁধে ভর করে বাড়িতে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকেরা দ্রুত তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঐদিন রাতে কিছুটা স্বস্তি অনুভব হওয়ায় আহত সাদিয়াকে রিলিজ করিয়ে বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু বাড়িয়ে ফিরে স্বাসকষ্ট ও বমি ভাবের সাথে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে রবিবার সাদিয়াকে বাসায় আনা হয়।

এ ব্যাপারে সাদিয়ার পিতা কাঠ মিস্তি রেজাউল মন্ডল ও মাতা রেহেনা খাতুন বলেন, বিনা অপরাধে মেয়েকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে ছোট মেয়েকে শিক্ষক মারতে পারে অবিশ্বাস্য। আমি এই শিক্ষিকার উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনায় সাদিয়ার পিতা রেজাউল মন্ডল ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অভিযুক্ত নারী শিক্ষক তাসলিমা খাতুন তিথির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এতো কিছু করার দরকার নেই ভাই। এতো বাড়াবাড়ি করার দরকার কী? আসলে আমি তেমন ভাবে মারি নাই, কিছুই করি নাই বুঝছেন। তার পরও ওরা আমাকে ধরে মারছে। এভাবে শিক্ষককে কেউ মারে? তাতে শিক্ষকের মর্যাদা কোথায় থাকে?

কেন মারলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক আরও বলেন, বেয়াদবি করছে ভাই, গোড়ার খবর না জেনে এগুলো বলা উচিত নয়। আমি অফিসে ইনফ্রম করেছি, অফিসই ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করবে। সাক্ষাৎকার টাক্ষাৎকার নেওয়ার দরকার নাই” বলে ফোনটি কেটে দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাসলিমা খাতুন তিথি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *