।। বীর মু্ক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন ।।
২৫ শে জুন ২০২২ খ্রি. পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাঙালি জাতির জন্য আরেকটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সাল ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহবানে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার ও আলবদরদের কে পরাজিত করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের দেশটিকে মর্যাদায় স্থান করে দিয়েছিল। তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব ব্যাংক সহ দেশে-বিদেশে অবস্থান করে যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে এবং সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে সোচ্চার তাদের মুখে ছাই দিয়ে ২৫ শে জুন উদ্বোধন করতে যাচ্ছে স্বপ্নের “পদ্মা সেতু”। এই উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশে এবং দেশের বাইরে বসবাসকারী সকল বাঙালি উৎসবমুখর। আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের মুখ দেখাতে পারছে না বলেই পাগলের মতো প্রলাপ করে যাচ্ছে, যেমনি ৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধীরা পাগলের মত প্রলাপ বকে ছিল।
শুধু তাই নয় স্বাধীনতা বিরোধীরা যেমন ৭৫’র ১৫ ই আগস্ট ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, তেমনি তাঁর কন্যা যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে মর্যায় স্বীকৃতি লাভ করেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা তৈরি থেকেও বিরত নাই। যেটা তাদের দেওয়া স্লোগান ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার এটাতেই প্রমাণ করে।
হে জননেত্রী, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলার জনগণ প্রয়োজনে “৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার” এই স্লোগান এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আপনার পাশে আছে এবং থাকবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে একজন অর্থনীতিবীদ না হলেও আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পদচারণা করার। সেই সুবাদে আমি বলতে চাই একটি জাতির বা দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে “যোগাযোগ” ও “নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ” জননেত্রী আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই “পদ্মা সেতু” মাধ্যমে শুধু একটি অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে না, উপকৃত হবে সারা বাংলাদেশের মানুষ, কেননা মানুষ তখন তাদের পণ্য নিয়ে সহজেই এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারবে এবং যার ফলে দেশের মধ্যে অন্যান্য অঞ্চলও গড়ে উঠবে নতুন শিল্পাঞ্চল। একটি দেশের উন্নয়নের আরেকটি মূল চাবিকাঠি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়নের সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত করতে যাচ্ছে “রূপপুর পারমাণবিক চুল্লি”। এটা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের আর একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে।
যারা সমালোচনা করে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আসুন সমালোচনা ছেড়ে উন্নয়নের ধারাকে স্বাদরে অভিনন্দন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু