মুক্ত চেতনা ডেস্ক : কৃষি ক্ষেত্রে পলিনেট হাউজের ব্যবহার পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমণ কম হয় এবং ফসল উৎপাদন অনেকগুণ বাড়ে যায়। বর্তমানে বিশ্ব প্রকৃতির বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতিকূল আবহওয়া বিরাজমান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় কৃষি ও অসহায় কৃষক প্রতিকূল আবহাওয়াকে নিজের অনুকূলে নিয়ে কৃষিপন্য উৎপাদন করতে পারলে কৃষিতে লাভবান হওয়া যাবে। সাধারন প্রতিকূল আবহাওয়া কৃষি ও কৃষক পলিনেট হাউজের মাধ্যমে নিজের মতো করে নিয়ে উৎপাদন করতে পারে। পলিনেট হাউজের মাধ্যমে রাজশাহীর পবা উপজেলায় কৃষি উদ্যক্তা তৈরিতে পরিক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নেট হাউজ মধ্যে উৎপাদনে উৎপাদিত চারা ও কৃষিপন্য আর্কষনীয় মানসম্মত হয়। কেননা নেট হাউজের উৎপাদিত পন্য সাধারন উৎপাদনের চেয়ে রোগ বালাই কম, এজন্য জৈবিক ভাবে সহজে দমন করা যায়। কৃষিকাজে যান্ত্রিকীকরণ ক্রমান্বয়ে যেমন বাড়ছে তেমনি পলিনেট হাউজ সম্প্রসারণ হলে দেশের কৃষিতে নতুন এক মাত্রা যোগ হতে পারে। কৃষির নিরাপদ উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্যে কৃষি গবেষকেরা গবেষণা করে যাচ্ছে। কৃষিকে এগিয়ে নিতে নতুন নতুন গবেষণার বিকল্প নেই। কৃষিতে উন্নত দেশগুলো গ্রিন হাউজসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। আমাদের দেশে পলিনেট হাউজ সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত হলে হতে পারে বাংলার গ্রীনহাউজ।
রাজশাহীর পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জনান, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় পবার খড়খড়িতে একটি পলিনেট হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। যার খরচ প্রায় বিশ লক্ষ টাকা। কৃষক ইচ্ছে করলে সিমেন্টর খুটি দেশীও পন্য ব্যবহার করে এই আদলে ছোট করে কম খরচে করতে পারবে। পলিনেট হাউজে ফসলের উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়ে পাশাপাশি পোকামাকড়ের রোগবালাই আক্রমণ ৭০ শতাংশ কম হয়। প্রথমিকভাবে কাঠামো তৈরিতে খরচ কিছুটা বেশি হলেও এতে উৎপাদন খরচ কম হয়। আর নিরাপদ ফসল উৎপাদন সহজ হয়। পলিনেটে সুস্থ সবল চারা উৎপাদন করা যায় এবং উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। পলিনেট হাউজ আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, রোগবালাইয়ের আক্রমণ প্রতিরোধ সহজে করা যায়। গ্রিন হাউজ এর আদলে দেশীর কৃষি ব্যবস্থাপনায় নতুন সংযোজন পলিনেট হাউজ। পলিনেটে হাউজের মাধ্যে সারা বছর যে কোন সবজি উৎপাদন করা যাবে। পলিনেট হাউজ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক তার ফসলের চাহিদামতো করে সেচ, আদ্রতা, উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্ঠি মিশ্রিতো পানি, কীটনাশক স্প্রে করতে পারবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মোজদার হোসেন জানান, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণরে মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন পাইলট প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৬৭ টি পলিনেট হাউজ স্থাপন করা হেচ্ছে। রাজশাহীর পবা উপজেলাতে পলিনেট হাউজ রয়েছে। পলিনেট হাউজের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের ফসল সারা বছরই সব ধরনের সবজি চাষ করতে পারবেন যেমন ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, রকমেলন, রঙিন তরমুজ, রঙিন ফুলকপি/বাধাকপি, লেটুসসহ অন্যান্য অফসিজন সবজির পাশাপাশি চারা উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এর ফলে সবজি চাষে যেমন বৈচিত্র আসবে, তেমনি অনেকেই আয়ের নতুন উৎসের সন্ধান পাবে। আগ্রহী এবং নতুন উদ্যক্তা তৈরিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।