পাবনার আমিনপুরে অব. পুলিশ সদস্য’র পরিবারে হামলা; আহত ৫; আটক ২

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার আমিনপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে (অব.) পুলিশ সদস্য’র মো. রফিকুল ইসলামের(৬০) পরিবারে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের ৪ জন গুরত্বর আহত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আহত পুলিশ সদস্যের বাড়িতে প্রবেশের পথের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি ভাতিজাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় গাছ কাটায় তাদের বাধা দিলে লাঠিশোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরে হামলা করে। হামলাকারীদের লাঠি ও অস্ত্রের আঘাতে গুরত্বর আহত হন এই পুলিশ সদস্যের পুরো পরিবারে সদস্যসহ তার আরেক ভাই। অব. আহত পুলিশ সদস্য সাঁথিয়া উপজেলার আমিনপুর থানাধিন সাগরকান্দি ইউনিয়নের তালিমনগর গ্রামে মৃত মানিক উদ্দিন শেখের ছেলে। এই হামলায় গুরুত্বর আহতরা হলেন, তার স্ত্রী মোছা. লিলিয়া বেগম (৫০), ভাই মো. তোফিজ উদ্দিন শেখ(৫৭), মেয়ে আফসানা আক্তার জুঁই(২০), ছেলে মো. রবিউল ইসলাম ২৫)। আহতদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ বিষয়ে আহত অব. পুলিশ সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, আমার শরিকের ভাই ভাতিজাদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। তবে সেই বিরোধ সমাধান হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। হঠাৎ করে তারা পরিকল্পিত ভাবে আমার বাড়িতে প্রবেশ পথের পাশে লাগানো গাছ কাটতে থাকে। আমি তাদের মানা করলে তারা আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের উপরে হামলা করে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই। আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করার জন্য তারা এই হামলা করেছে। আমি খুবই ভয়ের মধ্যে রয়েছি। ওরা আবার আমার পরিবারে সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

পাবনা আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে এই হামলা ঘটনা হয়েছে। ঘটনার শোনার সাথে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠোনো হয়েছে। যার উপরে হামলা হয়েছে তিনি আমাদের পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুইজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। যেহেতু পরিবারের সদস্যরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন তাই এই হামলার ঘটনায় মামলা পক্রিয়াধিন রযেছেন। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *