নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনায় এতিমখানা ও মাদ্রাসার সম্মুখের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কম পক্ষে ১০ জন গুরুত্বর আহত হয় বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুরুত্ব আহত চার জনকে পাবনা জেনালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৯’ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সুলতান গেটের নিকট তালিম নগর এতিমখানা ও মাদ্রাসার সম্মুখে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় জমি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় খলিলপুর ও তালিম নগর দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটনা হয়েছে। হামলায় সন্ত্রাসীরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অবস্থা নেয়াদের উপরে হামলা চালায়। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুত্বর আহত হয় ৫জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে পাবনা জেনালে হাসপাতালে চিকিৎসার ভর্তি করা হয়। গুরত্বর আহতরা হলেন, সাগরকান্দি মুরারীপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল উদ্দিন মোল্লার ছেলে লেবু হাজী (৪৫),ফজিবর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ (৩০), লোকমান হোসেনের ছেলে মৃদুল (২৬), আজিজুল শেখের ছেলে শরিফুল (১৬)।
গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ জনকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় আহত অন্যদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেরে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
আহতদের অভিযোগে জানা যায়, এতিমখানা ও মাদ্রাসার জমি দখলে বাঁধা দিলে এলাকার প্রভাবশালী স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশিদ ওরফে পাঁঠা রশিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি ভাবে মাদ্রাসার পক্ষে অবস্থা নেয়া এলাকাবাসীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তারা স্থানীয় বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা স্থল পুলিশ পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এই ঘটনায় দুই গ্রামের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের ঘটনা হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
এই ঘটনায় পাবনা সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জান শাহীন বলেন, এই করেনাকালীন সময়ে মানুষ দারুন কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। আর তারা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনের জায়গা দখল নিয়ে ঝামেলা করছে। বিষয়টি সত্যিই দুঃখ জনক। তবে আমি এই ধরনের ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী জামাত বিএনপির সমর্থকেরা ওই মাদরাসার জায়গা দখল নিতে চায়। এই দখলদারদের বাধা প্রদান কালে সন্ত্রাসীরা অনেককেই ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করেছে। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করে যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
তবে ঘটনার বিষয়ে পাবনা আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ঘটনাটি একটি মাদরাসার সম্মুখের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। বাঁধের সাথে রাস্তার পাশে জায়গায় অবৈধভাবে যে যারমত দখল করে করে বিভিন্ন দোকান পাট কছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। স্থানীয় একপক্ষ মাদ্রারসার পক্ষ নিয়েছেন অপর পক্ষ সেটি উচ্ছেদের পায়তারা করছে। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষটি নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।