পাবনার সুজানগরে যৌতুক ও নারী লোভী শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী’র সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুন

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগরে যৌতুক নারী লোভী এবং নেশা গ্রস্থ রাইপুর মাজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমরান হোসেনের নির্মমতার স্বীকার বিচার প্রার্থী হয়ে দারে দারে ঘুরছে ছেলে মেয়েসহ স্ত্রী খালেদা আক্তার। খালেদার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাস্তির সুপারিশ করেছেন উপজেলা শিক্ষা কমিটি। সম্প্রতি সুজানগর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোজিনার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের ছবি ভাইরাল হওয়া ঘটনায় ইমরানের সম্পৃক্ততার কথা আসছে সেই বিষয় তদন্তধীন রয়েছে যা দেশের অধিকাংশ মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। শনিবার দুপুরে সুজানগরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত খালেদা।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারি ব্যাংকে চাকরী করে এমন মিথ্যা কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে এবং ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহরে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার চর-মানিকদিয়ার গ্রামের মৃত জালাল মন্ডলের মেয়ে খালেদা আকতার কে বিয়ে করে একই উপজেলার রাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুর হামিদের ছেলে মো. ইমরান হোসেন। বিয়ের পর খালেদা জানতে পারে তার স্বামী সরকারি চাকুরীজীবি নয় সে মিথ্যাচার করেছে, সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করে। বিয়ের কিছুদিন পর ইমরান সরকারি চাকুরী পাওয়ার জন্য আরো ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে স্ত্রীর কাছে। এই টাকা না দেয়ার কথা বললে খালেদার উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন। সংসার বাঁচানোর তাগিদে ৬ লক্ষ টাকা দেয় খালেদার পরিবার। এরপর সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী পায়। এরই মাঝে বেশকিছু মেয়ের সাথে এবং ছাত্রীর মাতার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানতে পারে স্ত্রী খালেদা। এর ছাড়াও নেশা করার তথ্য জানতে পারে খালেদা। এই সব বিষয় নিষেধ করলে মাঝে মধ্যেই স্ত্রী খালেদাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে ইমরান। খালেদার বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ অনুয়ায়ী বাবার জমি বিক্রি করে টাকার আনতে বলে ইমরান। বাবার বাড়ীর টাকা না আনায় নির্যতনের পর আবার ডিভোর্স দিয়েছেন ইমরান। খালেদার বাবা না থাকায় দুই সন্তান নিয়ে ভাইদের কাছে থাকতে হচ্ছে খালেদার। এ ব্যাপারে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুজানগর থানায় মামলা হয়। মামলা নং-১০৪/ ২০২১ ও সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছেন।

এ ব্যাপারে ইমরান হোসেন জানান, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি সুষ্ঠু পারিবারিক পরিবেশ বজায় রাখার কিন্তু সেটা আমার স্ত্রী রাখেনি। পারিবারিক অশান্তির প্রেক্ষিতে ডিভোর্স দিয়েছি আইনি প্রক্রিয়ায়। সবেমাত্র ডিভোর্স হয়েছে আমার বাচ্চাদের ভোরন পোষন দিতে চেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু সে পরিবেশ হয় নাই। আমি ভোরন পোষণ দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

খালেদা আক্তার বলেন, মিথ্যা কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা কাবিণে বিয়ে করে আবার ডিভোর্স দেয় মিথ্যে অপবাদ দিয়ে। ডিভোর্সের পর আবার ৬ লক্ষ টাকার স্থলে ২০ হাজার টাকা কাবিণ করে বিয়ে করে এসবই ছিল ওর প্রতারণা। বিয়ের পর থেকে আমার উপর ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে ইমরান এবং ওর পরিবারের সদস্যরা মিলে। আমি সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য এবং দুই সন্তানের ভবিষতের কথা বিবেচনা করে অনেক সহ্য করেছি। এখনও যদি সমাজের দায়িত্বশীল মানুষজন আমাকে সংসার করতে বলে আমি সংসার করতে রাজি। কিন্তু তৃতীয় কোন পক্ষের কারণে এবং নেশায় বাধা দেয়ায় আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। ইমরানের অনৈতিক কার্যক্রমের বাধা দেয়ার কারণেই আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে আমার সন্তানের নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমি প্রতারক ইমরানের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি চাই।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *