সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ উত্বপ্ত হয়ে উঠেছে পাবনা সুজানগর উপজেলা। ০৬ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে আ.লীগের বিদ্রহী (সতন্ত্র) আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাগরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগরে সহ-সভাপতি মো. তৈয়ব আলী শেখের বসত বাড়িতে নৌকা প্রতিকের সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের ৭জন গুরুত্ব আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে আবারো যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা হতে পারে বলে মনে করছেন। আসছে ১১ নভেম্বর এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষের কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলা ভয়ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
হামলার বিষয়ে আ.লীগরে বিদ্রহী সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. তৈয়ব আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, আ.লীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীন চৌধুরীর নির্দেশে তার সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দলবল বেধে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আমার নির্বাচনের কাজে ব্যবহিত ৫টি মটর সার্কেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার বসত বাড়িতে ও আগুন দিয়েছিলো। প্রাণ ভয়ে আমি পালিয়েছিলাম। প্রতিবেশিরা আমার বাড়ির আগুন নিভিয়েছে। চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর নির্দেশে তারা এই হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য এই হামলা করছে। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তা হীনতনায় ভূগছি। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চেয়ারম্যান হওয়া যাবেনা। সাধারন মানুষ সেটা মেনে নেবে না।
অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতিকের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহীন চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচার মিছিলের উপরে বিদ্রহী প্রার্থী তৈয়ব আলীসহ তার সমর্থকের হামলা চালিয়েছে গুলি বর্ষণ করেছে। এখন উল্টো আমার নামে মিথ্যা বলছে। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন নেয়ার জন্য তারা নিজেরাই এই কাজ করেছে। আমার বা আমার কোন নেতাকর্মীরা এই কাজের সাথে জড়িত নয়। আমরা নিজেদেরমত করে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছি। নির্বাচনে তার পক্ষে কোন নেতাকর্মী বা সমর্থক নেই। জামাত বিএনপির মদদে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রতিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সাধারন মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দিবেন।
ঘটনার বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন আলী বলেন, উভয় পক্ষের নির্বাচনী প্রচার মিছিল সামনা সামনি হওয়ার কারনে এই সংর্ষের ঘটনা হয়েছে। ঘটনায় বেশ কয়েকটি মটার সাইকেল ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৫ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন। বাড়িঘড়ে সামান্য হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। উভয় পক্ষের সমর্থকেরা আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন প্রকারের সহিংসতা আইন শৃঙ্খলার অবনতি মেনে নেয়া হবে না।