স্টাফ রিপোর্টার : পাবনায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৭ টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলো পাবনা সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়ার গ্রামের মো. গফুর শেখরে ছেলে মো. মনিরুল শেখ ওরফে মনির(২০), আতাইকুলা থানার শ্রীকোল চরপাড়া এলাকার মো. মুছা মন্ডলের ছেলে মো. শাহীন আলম সুজন (২৫) ও একই থানার কৈজুরী শ্রীপুর গ্রামের মো. মকবুল প্রামানিকের ছেলে মো. মুরাদ প্রামানিক (৪৫)। গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে ৭টি চোরাই মোটরসাইকলে উদ্ধার করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম তত্ত্বাবধায়নে এবং ডিবি’র ওসি, মো. এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে ৬-৭ মার্চ দীর্ঘ সময় অভিযান পরিচালনা করিয়া ভোরে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম পাবনা জেলার সদর থানা, আতাইকুলা থানা, সুজানগর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার বিবরণে বলা হয় ২৭/০১/২০২৩ তারিখে পাবনা থানার দোহারপাড়া কেন্দ্রীয় জামে সামজিদের সামনে ঐ এলাকার আলী মুন্সির ছেলে মো. আহম্মেদ আলী মুন্সির ব্যবহৃত একটি বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। একই তারিখ দুপুর ২ টার দিকে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা মোটরসাইকেলের ঘাড় লক কৌশলে খুলিয়া চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চুরির ঘটনায় পাবনা সদর থানার এফআইআর নং-১১, তারিখঃ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি. রুজু হয়।
আসামীরা বিভিন্ন সময় পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থান হতে উদ্ধারকৃত চোরাই মোটরসাইকেল গুলো চুরি করেছিল। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা মোটরসাইকেল এর লক ভাঙ্গার অভিনব কৌশল গুগোল/ইন্টারনেট হতে শিখেছে। যেখানে মাত্র ১/২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল এর লক খুলে চুরি করা সম্ভব। চুরি করার সময় ঘটনাস্থলে তারা তিনজন অবস্থান করে তাদের মধ্যে একজন মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করে অপর একজন মোটরসাইকেলের লক ভাঙ্গে এবং ফাইনালি একজন মোটরসাইকেল চালিয়ে সোজা আতাইকুলা থানাধীন শ্রীকোল বাজারে অবস্থিত মেকার সুজন এর গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল গুলোর লকসেট, কালার পরিবর্তন করে গ্রহকের কাছে ৪০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। গ্রুপটি সাধারনত পালসার মোটরসাইকেল চুরি করে।