মুক্তচেতনা ডেস্ক : পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ ভোলার চরফ্যাশন, ঢাকা, গাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ডিবি পরিচয় দানকারী ৬ আন্তঃজেলা দুর্ধর্ষ ডাকাত কে গ্রেফতার করেন।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা ডিবি পুলিশ কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জানান, ২৫ আগস্ট ২০২২ খ্রি. বেলা ১১টায় পাবনা জেলার আমিনপুর থানার মোবারকপুর গ্রাগের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম কাশিনাথপুর জনতা ব্যাংক শাখা থেকে নগদ ৮ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ভ্যানযোগে আমিনপুর নান্দিয়ারা গ্রামের কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস ভ্যানের গতিরোধ করে শরিফুল ইসলামকে টেনে হিচড়ে গাড়িতে তুলে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে তার নিকট থাকা ৮ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে শরিফুল ইসলামকে আমিনপুর থানার আলাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রো থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমিনপুর থানায় একটি দস্যুতার মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ২০, তারিখ-২৬/০৮/২০২২ খ্রি. ধারা-৩৯২/১৭০ (পরবর্তীতে ধারা ৩৯৫/৩৯৭) পেনাল কোড ১৮৬০।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল বিভিন্ন জায়গায় ৩ দিন শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত হলো সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দহকোলা গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ করিম (৪৭), সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার বড় পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সাবের প্রামানিকের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২), শাহজাদপুর থানার উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩৩), একই থানার চর আঙ্গারু গ্রামের মো. আব্দুর শুকুর মিয়ার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (৩৮), সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার বড় পাঙ্গাসী প্রামানিকপাড়া এলাকার মো. আব্দুল কাদের প্রামানিকের ছেলে মো. মাসুদ রানা ও ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ গ্রামের মৃত আহম্মেদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে ড্রাইভার হোসেন।
এ সময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে ডিবি ডিএমপি লেখা একটি ডিবির জ্যাকেট, একজোড়া হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি, পুলিশের ব্যবহৃত একটি সিগনাল লাইট, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, আসামীদের ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১নং আসামী মো. মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি অস্ত্র ও মাদক সহ ১০ টি মামলা রয়েছে। আসামী আরিফের বিভিন্ন জেলায় বিরুদ্ধে ৮ টি মামলা, আসামী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা ও ড্রাইভার মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা রয়েছে।