বিশেষ প্রতিনিধি : পাবনা সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া, রাইপুর, গুপেনপুর, উদয়পুর, মালিফা ও নাজিরগঞ্জ সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানার নামে বিনামূল্যে কিছু পরিমান বালি দেয়ার অনুমতি নিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে প্রতিদিনে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মুল্যের বালি উত্তোলন করছে বালি দস্যুরা। এর ফলে অনেক জায়গায় বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। অপর দিকে উঠতি বাদামসহ আবাদী ফসলের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে উপস্থিত বালি উত্তোলন কারীরা জানায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে বালি প্রদান করা হচ্ছে। আমরা নিয়ম নীতি মেনে বালি উত্তোলন করি। এ সময় বালি উত্তোলনকারীরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত একটি অনুমতিপত্র দেখান এবং যার অনুলিপি প্রধান প্রকৌশলী বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা, পাবনা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর থানা, সুজানগর থানা ও নৌ-পুলিশ দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এই অনুমতি পত্রে এটাও উল্লেখ রয়েছে বাড়ি ঘর, আবাদি, কৃষি জমি নিকট থেকে বালি উত্তোলন করা যাবে না। ফসলের ক্ষতি করা যাবে না। এই মাটি/বালি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবহার করা যাবে না। এ বালি/মাটি কোন ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করা যাবে না।
অথচ বালি দস্যুরা সরকারি কাগজ দেখিয়ে স্থানীয়দের ভুলভাল বুঝিয়ে কৌশলে দেদারসে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উপর মহলের যোগসাজসে।
পাবনা সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানান, নিয়মের বাইরে বালু উত্তোলন করলে বন্ধ করে দেয়া হবে।
পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির এ বিষয়ে মুঠোফোনে বলেন, আমি জরুরি কাজে ঢাকা আছি। আমি যতদুর জানি স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানার নামে বিনামূল্যে কিছু পরিমান বালি দেয়ার অনুমতি রয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে যদি কোন মহল অনৈতিক সুবিধা মাধ্যমে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করলে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।