ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পারভিন খাতুনের বিরুদ্ধে লাইলী আক্তার নামক এক প্রতিবন্ধী মহিলার কাছে থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড করার জন্য ৭ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঈশ্বরদীর উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের সড়ইকান্দীর নয়াপাড়া গ্রামের তাইজদ্দীন এর স্ত্রী সাংবাদিকদের এ অভিযোগের কথা জানান ৷
তিনি আরো জানান, মুলাডুলি ইউনিয়ন এর ৪, ৫, ৬ নং মহিলা সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য পারভিন খাতুন প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করার জন্য প্রথমে ৫০০ টাকা নেয় তারপর আবার ৫০০ টাকা নেয় ৷ এরপর কার্ড চুরান্ত করার জন্য ৫ হাজার টাকা নেন। এরপর এখানে সেখানে অফিসে আসা৷ যাওয়ার জন্য ও কাগজপত্র ফটোকপি করার জন্য ১ হাজার টাকা নেন। এ মিলিয়ে সর্বমোট ৭ হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ৷ তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান তার স্বামী ভ্যানগাড়ি চালায়ে সংসার চালায় এতে ভাতার কার্ড করার জন্য মানুষের কাছে থেকে ঋণ করে ভাতার কার্ড করতে দেন মহিলা ইউপি সদস্য’র কাছে। তারপর ঋণের বিষয়টি তার স্বামী জানতে পেরে অনেক রাগারাগি করে।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য মুলাডুলি ইউনিয়ন এর ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মঙ্গলবার ১৯/০৪/২০২২ ইং তারিখে মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ১১ টায় আসেন কথা বলব৷
এরপর সাক্ষাতে গেলে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনা অস্বীকার করে এরিয়ে যান এবং তার স্বামীকে পরিষদে ডেকে আনেন। এরপর তার স্বামী উপস্থিত হয়ে সরাসরি এসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব বলে হুমকি দেন। এ বিষয়ে মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মালিথার সাথে কথা হলে তিনি জানান যেই ঘটনা রটে সেটা অবশ্যই কিছুনা কিছু ঘটে, তবে আমার ইউনিয়ন পরিষদের কেও যদি এরকম প্রতারণার কাজের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগকারী প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির কাছে থেকে ৭ হাজার টাকা নেওতার কথা যদি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হয় তাহলে তার প্রতিবন্দী ভাতা কার্ড বাতিল করে দেওয়া হবে।