বিলুপ্তিপ্রায় চলনবিল খননের দাবি— ডাঃ এম এ সাত্তার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সময়ের ব্যবধানে বিলুপ্তিপ্রায় নদ-নদী খাল-বিল আজ দখল দূষণ ভরাটের পথে সাক্ষী হয়ে আছে, নাব্যতা সংকটে নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর, আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল। অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে অনেক খাল-বিল নদ-নদী। এক সময়ের চলমান নদীর বুক জুড়ে বর্তমানে দেখা দিয়েছে সবুজ শ্যামল ফসলের মাঠ। শুকনো মৌসুমে পানি নেই, এসব নদীতে বর্ষা মৌসুমে দু’কুল ছাপিয়ে দুর্দাশার কারণ হয়। বেশির ভাগ নদীরই পানি ধারন ক্ষমতা নেই। এতে বর্ষা মৌসুমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। নদীগুলোর খননের দাবি জানিয়েছেন চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ সাত্তার বিলচলনী। ডাঃ এম এ সাত্তার বলেন চলন বিলের বড়াই, আত্রাই, ইছামতী ও হুরাসাগর নদীতে এক সময় অনেক স্রোত ছিলো। বড় বড় নৌকা, ট্রলার, লঞ্চ সহ নানা ধরনের নৌযান চলাচল করতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে নদীগুলো হারিয়ে গেছে। নদীতে আর পানি দেখা যায়না। বর্ষাকালে যতটুকু পানি আসে সে পানি অল্পতেই শুকিয়ে যায়। বর্তমানে বড়াই, কাটাখাল ইছামতী ও হুড়া সাগর পানি নেই বললেই চলে। নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর, যেখানে ধান, পাট, রসুন, শরিষা, গমসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। নদীতে পানি না থাকায় পারের মানুষের দুর্ভোগ অবর্ননীয়। সেচের জন্য এ দুই নদীর উপর নির্ভর করতে হয় এলাকার সাধারন কৃষকদের। তারাশ,সলঙ্গা, রায়গঞ্জ এলাকার গনমানুষের নেতা চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ সাত্তার বিলচলনী আরো বলেন চলনবিলের বড়াল, আত্রাই গুমানী, ভদ্রা, কাটাখাল, হুরাসাগর, নদীতে সারা বছর পানি থাকতো, মাছও থাকতো। অতিতের সেই উত্তাল হুরাসাগর নদী খননের অভাবে আজ গোচারন ভুমিতে পরিনত হয়েছে। জাতীয় দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মোমিন চলনবিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চলনবিল রক্ষা করার জন্য নদীগুলো পূনখনন করার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *