ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিয়ের দাবিতে গত দু’দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজপড়ুয়া একছাত্রী। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে প্রেমিকসহ তার পরিবার গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মেন্দা মহল্লায়। এদিকে অনশনরত কলেজ ছাত্রী বলছে, প্রেমিক আশিকুর রহমান ওরফে টিপু (২৪) তাকে বিবাহ না করলে সে আত্মহত্যা করবে। টিপু ওই মহল্লার মৃত আতাউর রহমান প্রামাণিকের ছেলে ও সেনা সদস্য। সে বগুড়া সেনা ক্যান্টারনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত বলে জানা গেছে। অনশনরত কলেজ ছাত্রী উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া নতুনপাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ওই কলেজ ছাত্রীর এক বড় বোনের বন্ধু পরিচয়ের সূত্র ধরে টিপুর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন মাস পূর্বে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে শারীরিক ও দৈহিক সম্পর্ক করে টিপু। গত (১৯ আগস্ট) বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে টিপু। পরদিন রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে দেখা করার জন্য তাদের বাড়ির সামনে যায় সে। কিন্তু তার সাথে দেখা না করতে পেরে টিপু বাড়ি ফিরে যায়। টিপু রাতেই তার প্রেমিকার ফোন কল দিয়ে ভোরে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। প্রেমিকের ফোন পেয়ে গতকাল (২১ আগস্ট) ভোরে ছুটে আসে তার বাড়িতে। কিন্তু ভÐ প্রেমিক টিপু পরিস্থিতির বেদিক বুঝে তার পরিবারকে নিয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে। পরে কলেজ ছাত্রী ওই বাড়ির সামনে খোলা আকাশের নিচে একাএকা রাত্রি যাপন করে।
প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত কলেজ ছাত্রী কান্না কণ্ঠে জানান, টিপু তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকবার ব্যবহার করেছে এবং টিপু তাকে বিবাহ না করলে সে আত্মহত্যা করবে। তিনি আরো জানান, টিপুর বড় ভাই তাকে ফোন দিয়ে পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তিনি সেনা দপ্তরের কাছে তার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানাতে আশিকুর রহমান ওরফে টিপুর মুঠোফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ইমরান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনশনরত ছাত্রী ও তার পরিবারকে আইনের সহায়তা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে মৌখিকভাবে শুনেছি। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।