স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন বলেছেন, মরহুম আমজাদ হোসেন ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, আন্দোলনের প্রথম সভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কারণে তিনি ঐ সময়ে গ্রেফতার হন। ১৯৫৩ খ্রি. আমজাদ হোসেন পাবনা জেলা আওয়মী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ খ্রি. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হলে আমজাদ হোসেনকে রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ দেন। ১৯৬২ খ্রি. তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আমজাদ হোসেন ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৭’র পাবনার ভুট্টা আন্দোলন এবং ৬৯’র গণ আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ খ্রি. বঙ্গবন্ধু’র আহবানে যে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামের তিনি ছিলেন প্রথম সারির বঙ্গবন্ধু’র সৈনিক।
বুধবার (১’ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ খ্রি. দুপুরে পাবনা সদরের বালিয়াহালট আমজাদ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন এসব কথা বলেন।
তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে আরও বলেন, যে ঐতিহাসিক ব্যক্তির নামে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা, আমজাদ হোসেন শুধু নেতাই নয়, তিনি আমার কাছে পিতৃতুল্য। আমাকে এতোটায় স্নেহ করতেন যে, তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাঁর সাথে আমি না থাকালে চাঁচি/পরিবারের সদস্য তাঁকে বাইরে যেতে দিতেন না। কখন কোন ঔষধ থেতে হবে সেটাও আমি জানতাম। আজকে এই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে আমাকে যারা আমন্ত্রণ করেছেন আমি তাদেরকে প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমজাদ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা পৌর মেয়র মো. শরীফ উদ্দিন প্রধান ও সদর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হাসান শাহীন।
অতিথিবৃন্দ কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং নবীনদের বরণ করে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।