যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে ১২ তলা ভবন ধসে মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ১৫০ জন। ভবনটির ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন তারা। রোববার মায়ামি-ডাড-এর মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
ড্যানিয়েলা কাভা বলেন, ধ্বংসস্তুপের ভেতরে যারা চাপা পড়ে আছেন, তাদের সবাই এখনো মারা যাননি বলেই আমরা আশা করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য তাদের উদ্ধার করা।
বুধবার রাত ১ টার দিকে মিয়ামির উত্তরাংশের সার্ফসাইড এলাকায় আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে চ্যাম্পলাইন টাওয়ার নামের ১২ তলা ওই আবাসিক ভবনের অর্ধেক অংশ। ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন।
১৯৮০ সালে নির্মিত সেই ভবনটিতে ১৩০ টি ইউনিট ছিল। ধসের ফলে ১৩০ টি ইউনিটের অর্ধেক, অর্থাৎ ৬৫ টি ইউনিটই তছনছ হয়ে গেছে।
সার্ফসাইডের মেয়র চার্লস বারকেট শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভবনের পেছনের দিকে, এক তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি অংশ সম্পূর্ণ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
মায়ামির সমুদ্রতীরবর্তী এই ভবনটি ঠিক কী কারণে ধসে পড়ল তা এখনো স্পষ্ট না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাণশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চ্যাম্পলাইন টাওয়ারের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে বাসিন্দাদের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের এই টাওয়ার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি আলোয় এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভবনটির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাপণায় বড় ধরনের ত্রুটি ছিল।
ভবনটির নির্মাণবিষয়ক উপদেষ্টা প্রকৌশলী ফ্রাঙ্ক মোরাবিটোর করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সমস্যা ছিল । প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আসল চুক্তির কাগজে এই পদ্ধতিগত ইস্যুটির উল্লেখ ছিল, যেটা পুরো ঘটনার শুরু হিসেবে দেখা হচ্ছে।