স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র উদ্যোগে রাজশাহীতে দুইদিন ব্যাপী নেটওয়ার্ক সমন্বয় সভা ও নদী বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার (২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ খ্রি.) হোটেল ওয়ারিশানের কনফারেন্স রুমে দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান’র সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ন ম ওয়াহিদ, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ ও দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী, বরাল রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক মিজানুর রহমান।
প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলা হেড অব প্রোগ্রামস ফিরোজুল ইসলাম মিলন ও রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল। আলোচনায় অংশ নেন স্কোপ’র নির্বাহী পরিচালক (বরিশাল) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু, ডেইলি স্টার জেলা প্রতিনিধি (পটুয়াখালী) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য মো. সোহরাব হোসেন, বেলা বরিশাল কার্যালয়ের সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন, বেলা টাঙ্গাইল কার্যালয়ের সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ, আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশনের (নেত্রকোনা) চেয়ারম্যান ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য দিলওয়ার খান, স্মরণী নির্বাহী পরিচালক (টাঙ্গাইল) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য মঞ্জু রানী প্রামানিক, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন (চুয়াডাঙ্গা) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য (যশোর) শেখ সাইফুল্লাহ, বেলা খুলনা কার্যালয়ের সমন্বয়কারী কাজী মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক (চট্টগ্রাম) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য পুষ্পেণ চৌধুরী, শিক্ষক (চট্টগ্রাম) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য আশরাফ উদ্দিন আহামদ, বেলা চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সমন্বয়কারী মনিরা পারভীন, ডেইলি স্টার উত্তরাঞ্চল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য কংকন কর্মকার, স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক (বগুড়া) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য মো. জিয়াউর রহমান, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন (পাবনা) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য এস এম মাহবুব আলম, মুক্তচেতনা সম্পাদক (পাবনা) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য শফিক আল কামাল, হারডো’র নির্বাহী পরিচালক (পাবনা) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক (সুনামগঞ্জ) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য জসীম উদ্দিন, শিক্ষক (হবিগঞ্জ) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য জালাল উদ্দিন রুমি, বেলা সিলেট কার্যালয়ের সমন্বয়কারী শাহ সাহেদ আখতার, বেলা সিলেট কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার শাফায়াত উল্লাহ্, বেলা (ঢাকা) নেটওয়ার্ক সদস্য মো. বশীর উদ্দীন, বেলা (ঢাকা) নেটওয়ার্ক সদস্য এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক (নাটোর) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য নিগার সুলতানা, বেলা রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল, ফিল্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম, একাউন্টস অফিসার মতিউল আলম, নির্বাহী পরিচালক শ্যাডো (রংপুর) ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য সারওয়ার জামিল খন্দকার, বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য (বগুড়া) এম ফজলুল হক বাবলু, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন (পাবনা) যুগ্ম-সম্পাদক ও বেলা নেটওয়ার্ক সদস্য জেবুন্নেছা খানম, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মনছুর আলম, বেলা কো-অর্ডিনেটর ফিল্ড এন্ড প্রোগ্রামস এএমএম মামুন, কো-অর্ডিনেটর ট্রেনিং এন্ড এওয়ারনেস ইসমত জাহান, কো-অর্ডিনেটর ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি নাজিমুদ্দীন প্রধান, কো-অর্ডিনেটর মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন সায়েমা আফরোজ, কো-অর্ডিনেটর ফিল্ড সাবিনা আলী, ল’ইয়ার হাসানুল বান্না, বারীশ হাসান চৌধুরী, এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার বদরুদ্দোজা শামীম নির্ঝর, শিপ ব্রেকিং প্লাটফর্ম সারা কোস্টা, ল’ইয়ার আসাদুল্লাহ আল গালিব, ক্যাম্পেইন অফিসার রাইসুল হৃদয়, রুমানা শারমিন, কমিউনিকেশন অফিসার আজমাইন আদিল নাকিব, অফিস এ্যাসিস্টেন্ট মোর্শেদুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেন শুধু রাজশাহী বিভাগেই ৪০ টি নদ-নদী দখল দুষণে মৃতপ্রায়। অনেক নদী আবার একেবারেই হারিয়ে গেছে। পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অনেক নদী মৃত্যু হয়েছে, আবার অনেক নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই চিত্র রাজশাহী বিভাগেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের প্রতিটি বিভাগের নদী-নদীর প্রায় একই চিত্র। এর সাথে যোগ হয়েছে ৩ ফসলি আবাদী জমিতে পুকুর কেটে মাছের ঘের তৈরি ও মৎস চাষ, নদী থেকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন, প্রভাবশালীদের অবাধ দৌরাত্ব, ইট ভাটার ক্ষতিকর প্রভাব, নদীর উন্নয়নে অপরিকল্পিত প্রকল্প বাস্তবায়ন। পান্নি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা আরও অভিমত প্রকাশ করেন দেশে পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষায় এবং নদ-নদীকে বাঁচাতে প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সব নদ-নদীর সীমানা নির্ধারণ করা, নদীর উপর নির্মিত সকল ব্রিজ কালভার্ট উচু করে পূণ নির্মাণ করা, নদী গবেষণা ও ডাটাবেজ তৈরি, নদীর দুইধারে পায়ে হাটা রাস্তা সহ বৃক্ষরোপন করা, শোধন ছাড়া নদীতে বর্জ্য না ফেলা, পুকুর ও জলাশয় ভরাট রোধ করা, লিফলেট ব্যানার তৈরি করে জনসচেতনতা তৈরি করা, পুস্তক ও সাময়িকি তে নিয়মিত নদী বিষয়ে তথ্য লিপিবদ্ধ করা, নদী নিয়ে জারি-সারি গান বাঁধা, নদী রক্ষায় স্থানীয় আন্দোলন জোড়দার করা, শুক্রবার জুমা’র নামাজ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নদী বিষয়ক সচেতনতা তুলে ধরে আলোচনা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা। এছাড়াও ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য পরিহার করে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ পণ্য ব্যবহার করা। সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা, সর্বপরি নদী রক্ষায় বেলা’র আইনী সহায়তা সহ আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা।