লিভার সিরোসিস আক্রান্ত শিক্ষক নুর ইসলাম; জীবন বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চী ইউনিয়নের ৮নং কাঁমারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর ইসলাম দূরারোগ্য ও ব্যয়বহুল লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পথয্ত্রাী। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে হটাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি প্রথমে পাবনা ও পরে ঢাকায় ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তার লিভারে ৪ টি টিউমার ও ক্যান্সারের জীবানু শনাক্ত হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি ছুটে যান ভারতের চেন্নাই এ্যাপোলো হাসপাতালে। চিকিৎসকের নির্দেশে ২০১৮ সালে পরপর ৪ বার চেন্নাই এ্যাপোলে হাসপাতালে গিয়ে ২ বার ব্যয়বহুল চিকিৎসা ট্রান্সআর্টারিয়াল কেমোইম্বোলাইজেশন Transarterial Chemoembolization (TACE) করা হয়। প্রতিবার Transarterial Chemoembolization (TACE) করতে ও ঔষধ বাবদ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। ২০১৯ সালে ৩ বার চেকআপ করাতে গিয়ে ১ বার Transarterial Chemoembolization (TACE) এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ১ বার চিকিৎসা নিতে চেন্নাই এ্যাপোলো হাসপাতালে যান। ইতিমধ্যে চিকিৎসায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয় দরিদ্র পরিবারের। ২০২১ সালে আরেকবার Transarterial Chemoembolization (TACE) করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২০২২ সালের ২২ জুন হতে ৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৪ দিন বিভিন্ন চেন্নাই এ্যাপোলে হাসপাতালে অবস্থান করি। সর্বশেষে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে চিকিৎসকগন নিশ্চিত হয়ে জানান যে, লিভার সিরোসিস আক্রান্ত লিভারটি বর্তমানে সম্পূর্ণরুপে অকার্যকর। অতি দ্রুত লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) করতে হবে।

চিকিৎসক জানিয়েছে পরিবার বা আত্বীয়দের মধ্যে কেহ স্বেচ্ছায় লিভার দিতে সম্মত হলেও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে চিকিৎসা ব্যয় হবে প্রায় ৪৫ লক্ষ ভারতীয় রুপি যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বিপুল পরিমান অর্থ সংগ্রহ করা অসম্ভব। দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত নূর ইসলামের পিতা রমজান আলী একজন অবসরপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বৃদ্ধ পিতা-মাতা, ৩ ভাই, স্ত্রী সন্তানসহ তাদের একান্নবর্তী পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১২ জন। বড় ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে কর্মহীন অবস্থায় আছে। ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম একটি প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। পিতার পেনশন ও তাদের স্বল্প বেতনের উপর ১২ সদস্যের পুরো পরিবারের ভরণ-পোষন চলে। নূর ইসলামের বৃদ্ধ পিতা রমজান আলী জানায়, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত দূরারোগ্য রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় প্রায় ৩৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে, যার অনেকটাই নিকটাত্বীয়দের কাছ থেকে ধার-দেনা ও ব্যাংক লোনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা। একমাত্র কর্মক্ষম সন্তানের চিকিৎসা করাতে তার পরিবার নিঃস্ব। তিনি বলেন, আমাদের একান্নবর্তী পরিবারে পারিবারিক দৃঢ় বন্ধন ও মায়া মমতার কারনে আমার দুই ছেলে ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে তাদের লিভার দিতে সম্মত হয়েছে। কিন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসার বিপুল পরিমান অর্থের যোগান দেওয়া আমার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। আমি আমার ছেলের জীবন বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবান, দানশীল হৃদয়বান ব্যক্তি, বৃহৎ প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য করজোড়ে মিনতি করছি।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:- মোঃ নূর ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং ০২০০০০৯৪০৩৩৭৫, অগ্রণী ব্যাংক, কলেজ গেট শাখা, পাবনা। মোবাইল নং ০১৭৩৩২২৮৫৭২ (নগদ), ০১৭৭৯০৬১৪০০ (বিকাশ)।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *