সংবাদ মাধ্যমের বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিয়তা!

শেয়ার করুন

।। এম এ ছালাম। ।
সংবাদপত্রের পাতা খুললেই প্রায় দেখা যায় সংবাদ কর্মীর হত্যা, সংবাদ কর্মী নির্যাতন, সংবাদ কর্মী গ্রেফতার। এ সকল খবর যেন প্রতিদিনের ধারাবাহিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। নেই কোন প্রতিকার। আর দেশের উচ্চ পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছেন। অথচ এদেশের বাসের শ্রমিককে নির্যাতন করলে সারাদেশে শ্রমিক ধর্মঘট হয় ,ব্যবসায়ীকে হয়রানি করলে বাজার ধর্মঘট হয় , কর্মচারীর বেতন কম হলে অফিস ধর্মঘট হয়,আর সেই খবরগুলো সাংবাদিকরা পরিবেশন করে বিভিন্ন পেপার পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়, কিন্তু সংবাদকর্মীর নির্যাতন, গ্রেপ্তার বা হত্যা করা হলে সংবাদ পরিবেশন বা কলম ধর্মঘট হয় না। অথচ আমাদের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বর্ম বা রক্ষাকবচ। গণমাধ্যম , বিশেষ করে সংবাদপত্র হল অবাধ তথ্য প্রবাহের ধারক বাহক। গণমাধ্যম কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর চেয়ে দেশ ও সাধারণ মানুষের স্বার্থকে অগ্রধিকার দেয়। ‘বিশ্বে এ পর্যন্ত যে ক’টি মহান ধারণার জন্ম হয়েছে, বাগ স্বাধীনতা তার একটি। ‘সুখের গোপন রহস্য হচ্ছে স্বাধীনতা, আর স্বাধীনতার গোপন রহস্য হচ্ছে সাহসিকতা।, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের পরেই গণমাধ্যমের স্থান। এ কারণেই রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের স্বীকৃতি বিশ্বজনীন। স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্রের কথা ভাবাই যায় না। গণমাধ্যম গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বর্ম বা রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। গণতন্ত্রকে সকল প্রতিকূলতা থেকে সুরক্ষা দেয়। আমাদের সংবিধানের ৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে গণমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৯ নম্বর ধারায়ও এই অধিকারের স্বীকৃতি রয়েছে।

লেখক : এম এ ছালাম, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক বিপ্লবী সময়,পাবনা।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *