নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ঢাকার সদস্য অধ্যক্ষ তেলাওয়াত হোসাইন খান বলেছেন, শিক্ষকদের একদফা সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করণ করতে হবে। এজন্য সকল শিক্ষককে এক হতে হবে। আগামী মার্চ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে সকলকে উপস্থিত হতে হবে। শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ থাকায় শিক্ষকরা আজ অবহেলিত। শিক্ষকদের নিজেদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হলে সকল শিক্ষককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী বিএম কলেজ চত্বরে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা এবং ৫% প্রবৃদ্ধি চালুকরার পিছনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর অবদান অনেক।
বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষে মতবিনিময় সভা এবং ঈশ্বরদী উপজেলার কমিটি গঠন বিষয়ক শিক্ষক সম্মেলন ২১ অনুষ্ঠিত।
ঈশ^রদী কম্পিউটার এন্ড বিএম কলেজ‘র অধ্যক্ষ ড. সোহেল আল বেরুনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মেনহাজ উদ্দীন, স্বাশিপ সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বাবু, মাদ্ররাসা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাও. আশরাফুল ইসলাম এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এস এম মাহবুব আলম। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ ঈশ্বরদী শাখার আহবসয়ক মুরাদ মালিথা। এছাড়াও ঈশ্বরদীর বিভিন্ন কলেজ, মাদরাসা এবং স্কুলের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান বক্তব্য দেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ কে সভাপতি, সহ-সভাপতি ঈশ্বরদী কম্পিউটার এন্ড বিএম কলেজ‘র অধ্যক্ষ ড. সোহেল আল বেরুনী ও মুলাডুলি কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক পাঠান এবং দাশুড়িয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে স্বাশিপ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ঈশ্বরদী ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মুছাকে সভাপতি এবং আব্দুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদক করে মাদরাসা কমিটি ঘোষণা করা হয়।