সাঁথিয়ায় জমি ভাড়া নিয়ে দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেয়ার করুন

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যর জমি ভাড়া নিয়ে স্কুল চালানোর নাম করে এখন জমি দখল করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। স্কুল পরিচালনাকারী ভাড়াটিয়া হারুনর রশীদ ৫ মাস ধরে জায়গার ভাড়াও দিচ্ছেন না আবার প্রচার করছেন তিনি জায়গা কিনে নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ভূক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল খাঁন বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৭ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি.) সকালে উপজেলার বনগ্রাম বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল খাঁন বলেন, বামনডাঙ্গা গ্রামে তার নিজ নামীয় একটি সম্পত্তি রয়েছে। ওই জায়গা ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আব্দুল লতিফ তার অপর দুই সহযোগী আব্দুল করিম ও ব্যবসায়ি হারুনর রশীদ কে সাথে নিয়ে এল. কে. এইচ মডেল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নাম দিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে স্কুলের মূল উদ্যোক্তা প্রভাষক আব্দুল লতিফ এবং আব্দুল করিম স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে চুক্তি বাতিল করেন। তারা জানান, স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, স্কুল ভাড়ার ৩নং পার্টনার হারুনর রশীদের নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে তারা চুক্তি বাতিল করে চলে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় স্কুলের জায়গা ভাড়ার ৩নং পার্টনার হারুনর রশীদ জায়গা অবমুক্ত করে চলে না গিয়ে স্কুলের নামই অবৈধভাবে বদল করে ফেলেন। তিনি এল. কে. এইচ মডেল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নাম বদল করে নিজের বাবার নামে শমসের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নামকরণ করেন। পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল খাঁন বলেন শমসের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নামের প্রতিষ্ঠানের সাথে তার কোন চুক্তি ছিল না। আর প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা চুক্তি বাতিল করায় সে চুক্তির কার্যকারিতাও নেই।

লিখিত বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল খাঁন আরও বলেন, চুক্তি বাতিল হওয়ার পরও হারুনর রশীদ তার কথিত কলেজ সরিয়ে না নেওয়ায় তিনি কলেজের পরিচালক হারুনর রশীদকে কয়েক মাস আগে একটি নোটিশ দেন। নোটিশে ১ জানুয়ারি ২০২৩ এর মধ্যে চুক্তি ভঙ্গের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির আসবাবপত্র নিজ খরচে সরিয়ে নেয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি (হারুনর রশীদ) তা করেননি। তিনি ৫ মাসের ভাড়াও দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় তার অবৈধ প্রচারণা ও ভাড়া না দেওয়ার কারণ জানতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য তার ছেলেসহ চুক্তিপত্রে তার সাক্ষীদের নিয়ে ১ জানুয়ারি/২৩ হারুনর রশীদদের কাছে যান। এ সময় হারুনর রশীদের সাথে কয়েকজন মিলে ‘শমসের আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ’এর নামে নতুন চুক্তিপত্র লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাক-বিতন্ডা চলাকালীন অনেক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। এ সময় হারুন অর রশীদ অবরুদ্ধ বলে বিভিন্ন স্থানে ফোন করে জানান। তিনি আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে বই বিতরণ কাজ ব্যাহত করার অভিযোগও তোলেন এবং থানায় একটি মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া হারুনর রশীদ প্রচার করছেন, তিনি এ প্রতিষ্ঠানের জায়গা কিনে নিয়েছেন তাই জায়গার ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নামে তার নিজস্ব সম্পত্তি বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন অব. পুলিশ সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক আব্দুল লতিফ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য হায়দার আলী সেখ, আলহাজ্ব আব্দুল কাদের শেখ, আলহাজ্ব আব্দুল গফুর খাঁন, আব্দুল মান্নান খাঁন, ইউনুছ আলী মোল্লা ও নিশান খান প্রমুখ।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *