সাঁথিয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসির আদেশ

শেয়ার করুন

সাঁথিয় (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার কাশিনাথপুরে আলেয়া খাতুন নামের এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন । এছাড়াও ভিকটিমকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে ৫ বছর কারাদ- অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি টুটুল সাঁথিয়া উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মল্লিকের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদ- আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত আলেয়া খাতুন বাড়ীর পাশে লাকড়ী কুড়ানো ও জমি দেখতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু আলেয় খাতুনের জবরদস্তি কারণে ব্যর্থ হয়ে তাকে শাড়ী পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং ধান ক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। এদিন রাত ৩টার দিকে লাশ ধান ক্ষেতের আরও দূরে লুকিয়ে রাখে। এঘটনার ৬ দিন পর সন্দেহজনক ভাবে টুটুলকে আটক করলে হত্যার কথা শিকার করে এবং লুকানো মরদেহ বের করে দেন।
এঘটনায় নিহত আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হলো।
এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্র্ইাব্রুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করি আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদ- কার্যকর হবে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী চোধুরী রাজিয়া সুলতানা টুলটুলি জানান, ‘আমরা সংক্ষুব্ধ। কারণ আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি- আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *