পিপ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলার চলনবিলের ভদ্রাবতী নদীর পানি প্রবাহের পথে প্রভাবশালীদের সোতিজাল স্থাপন করায় জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাচ্ছে সদ্য রোপন করা প্রায় ১০ হাজার বিঘার আমন ধান। সদ্য রোপন করা জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরজমিনে ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত তালম ইউনিয়নের উপরসিলোট ও খোশালপুর, কলামুলা গ্রামে ভদ্রাবতী নদীর পানি প্রবাহে পথে নদীর বিভিন্ন স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে সোতিজাল পেতে মাছ ধরছেন এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। সুতি জাল স্থাপনের কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার তালম ও বারুহাস ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামেরর বিস্তীর্ণ মাঠে পানি উঠে জলাবদ্ধতার জমির রোপা আমন ধান সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
উপজেলার তালম গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর, ধাপ ওয়াশিন মাঠের কৃষক শামীম হোসেন, মানিক চাপড় গ্রামের আবু রায়হান, আলমগীর হোসেন, তালমের আব্দুল বারিক ও গুল্টা গ্রামের আবুল বাশার জানান রানীহাট থেকে বারুহাস পর্যন্ত ভদ্রাবতী নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে সোতিজাল পেতে রেখেছে দলীয় পরিচয়ে কয়েকজন প্রভাশালী ব্যক্তিরা। এ কারণে উজানের বৃষ্টির পানি তালম গ্রামের নগরপাড়ার পাশাপাশি দুটি সেতু দিয়ে বিস্তীর্ণ মাঠের আবাদি জমির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। সেই পানি তালম-নগরপাড়া গ্রামীণ সড়কের বটতলা মোড়ের কালভার্টে আটকে যাচ্ছে। তালম গ্রামে কালভার্টের মুখে পাড় বেধে আকবার আলী নামে এক ব্যক্তি অবৈধ পুকুর খনন করেছেন। এতে তালম ও উপরসিলোট গ্রাম এলাকার কয়েক’শ বিঘা জমির আমন ধান পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, দ্রুততম সময়ে সোতিজাল উচ্ছেদ করা গেলে ও পুকুরের পাড় কেটে কালভার্টের মুখ মুক্ত করা হলে এখনও ধান বেঁচে যাবে। নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েক ব্যক্তি জানান প্রায় ১মাস পুর্বে উপজেলা মৎসঅফিস থেকে সুতিজাল উচ্ছেদ করা পরেও আবার স্থাপন করা হয়েছে এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ৮-১০ পূর্বে ঘটনাস্থলে এসে সুতিজাল স্থাপনকারীদের মৌখিক ভাবে জাল সরিয়ে নিতে বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, সোতিজাল গুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে এখন অপসারণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।